কেরলের জিকা ভাইরাসে হদিস, তড়িঘড়ি সর্তকতা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর

করোনার(covid) দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট কিছুটা কমে এসেছে। তবে আশঙ্কার মেঘ জমেছে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। এরই মাঝে গোদের ওপর বিষফোঁড়া মত জিকা ভাইরাস(zika virus) সংক্রমণের হদিস মিলল কেরলে। নয়া এই ভাইরাসের সংক্রমণে পরিস্থিতি যে গুরুতর হতে পারে তা অনুমান করেই এবার সতর্ক হয়ে উঠল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রতিটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে(health department) জিকার প্রাদুর্ভাব নিয়ে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের সঙ্গে ডেঙ্গুর বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই। তবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ভীষণভাবে বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে রোগীদের ক্ষেত্রে। কেরলে ১৩ জন বাসিন্দারা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পুণের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ১৩ জনই জিকা পজিটিভ। অন্যদিকে বিপদ অনুধাবন করেই তড়িঘড়ি সতর্ক হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরদারী বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:জন্মদিনেই জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক সূচনা

জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত পর্যায়ে জেলাগুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য ।সদ্যোজাত শিশুদের হেড ডায়ামিটার ম্যাজারমেন্টের রিপোর্ট নিয়মিত জমা দিতে হবে। কোনও সদ্যোজাত শিশুর হেড ডায়ামিটার ম্যাজারমেন্টে অস্বাভাবিক হলেই সেটা স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আনতে হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটির কাজ হবে রাজ্যে জিকা ভাইরাস চিহ্নিত করা, প্রতিকারের উপায় সন্ধান সহ প্রতিরোধের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার পরামর্শ দেওয়া। এই কমিটি গঠনের ব্যাপারে আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সাধারণত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যে সকল উপসর্গ দেখা যায় তা হল, জ্বর, চামড়ায় র‍্যাশ, চোখে সংক্রমণ, পেশী এবং গাঁটে ব্যাথা, মাথা ধরার মতো উপসর্গ থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তিরা উপসর্গহীনও থাকতে পারেন। তবে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস কিছুটা বিপদ ডেকে আনতে পারে।

 

Previous articleজন্মদিনেই জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক সূচনা
Next articleবৈষম্যের নমুনা! বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু থেকে পূর্ণমন্ত্রী শূন্য