প্রথা মেনে মাহেশে নারায়ণ শিলা গেল মাসির বাড়ি, নিয়ে গেলেন কল্যাণ

শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Bandopadhyay) কোলে চেপে মাসির বাড়ি গেল জগন্নাথ দেবের শিলা। করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর শুধু মানা হচ্ছে রীতি, হচ্ছে না মাহেশে 625তম বর্ষের রথযাত্রা Rathyatra)। টান পড়ল না রথের রশিতে। নিয়মমেনে দিন ভর চলছে জগন্নাথ (Jagannath), বলরাম (Balaram), সুভদ্রার (Subhadra) পুজো। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক।

গত দু’বছর ধরে সারা পৃথিবী জুড়ে করোনার দাপটে সমস্ত কিছু থমকে গিয়েছে। থমকে গিয়েছে মাহেশের রথ উৎসবও। তাই নেই কোনও ব্যস্ততা। স্নানপিঁড়ির মাঠে বসেনি কোনো মেলার স্টল। নিয়ম রীতি মেনেই রথের দিন সকালে তিন বিগ্রহকে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বের করে মন্দিরের চাতালে রাখা হয়। কোভিড বিধি মেনেই মন্দিরে প্রবেশ অধিকার ভক্তদের। বিকাল সাড়ে তিনটেয় জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে মন্দিরের চাতাল থেকে মূল মন্দিরের পাশেই অস্থায়ী মাসির বাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রভু, জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে। সেখানেই 8 দিন অবস্থান করবেন তাঁরা। বেলা চারটের সময় জগন্নাথ দেবের প্রতিভূ হিসেবে নারায়ণ শিলাকে রথের চারিদিকে তিনবার প্রদক্ষিণ করিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে জগন্নাথ মন্দির থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মূল মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এই কাজটি করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আটদিন সেখানেই চলবে নারায়ণ শিলার পুজো। উল্টোরথের দিন নারায়ণ শিলাকে যথাযথ মর্যাদায় মাহেশের মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।

 

Previous articleওলিকে সরিয়ে দ্রুত দেউবাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
Next articleমুকুলকে PAC চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদে ময়দানে বিজেপি, পাল্টা জবাব কুণালের