বিশেষ প্রতিনিধি, আগরতলা:

দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বেগুনি রঙের অরুনিকা এবং অম্বিকা প্রজাতির আমের। ত্রিপুরার আবহাওয়াও এই আম চাষের উপযোগী।তাই ত্রিপুরায় ব্যাপকভাবে এই আম চাষের জন্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের উদ্যান এবং ভূমি সংরক্ষণ অধিদফতর চাষিদের উৎসাহিত করছে।
আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ ডিরেক্টরেটের বাগিচা ও ফল গবেষণা কেন্দ্রে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির আমের পরিক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়।
যদি নতুন প্রজাতির আম বাণিজ্যিক ভাবে চাষের উপযুক্ত বলে প্রমাণিত হয় তখন তা চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন এই কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর রাজীব ঘোষ।
রাজ্যে প্রথম শঙ্কর প্রজাতির আম হচ্ছে আম্রপালি।
দশেরি এবং নিলম এই দু’টি প্রজাতির আম গাছের মধ্যে শঙ্কর করে তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যে আম্রপালি প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০০ গাছ লাগানো যায় এবং প্রতি গাছে বছরে ৩০০টি থেকে ৩৫০টি আম ধরে। এরপর যে আম চাষ বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয়েছে সেটি হল মল্লিকা। এটি আম্রপালির তুলনায় কিছু বড় আকারের হয়। এই দুই প্রজাতির আমের বাণিজ্যিক সফলতার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে বিপুল পরিমাণে এই দুই প্রজাতির আম চাষ হচ্ছে।
এর পরবর্তী অরুনিকা ও অম্বিকা। এই দুটি প্রজাতি খুব সুন্দর। এগুলোর উপরিভাগ অর্থাৎ ছাল বেগুনী রঙের হয় তাই এগুলোর রঙ দেখে মানুষ চাষের জন্য আকৃষ্ট হয়। বাণিজ্যিকভাবে চাষের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতে আম গাছ লাগাচ্ছেন। এই দু’টি প্রজাতির পার্থক্য বলতে শুধু আকারগত, স্বাদ এবং রঙ একই রকমের হয়ে থাকে। রফতানির জন্য এই আম খুব ভাল, কারণ বিদেশে এর চাহিদা খুব বেশি। এই সব গুণাবলীর জন্য রাজ্যে এই দু’টি প্রজাতির আম চাষের উৎসাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই দু’টি প্রজাতির আম মরসুমের কিছুটা শেষের দিকে ফলন হয়। তাই বাজার থেকে অন্যান্য আম যখন শেষ হয়ে যায় তখন এই দু’টি প্রজাতির আম বাজারে আসে। এর ফলে চাষিরা তুলনামূলকভাবে বেশি দামে আম বিক্রি করতে পারেন।

এই সব কারণে উদ্যান এবং ভূমি সংরক্ষণ অধিদফতর রাজ্যের চাষিদের মধ্যে অরুনিকা এবং অম্বিকা প্রজাতির আমের চারা বিতরণ করে কৃষকদের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন রাজীব ঘোষ।
