টিকাকরণের শংসাপত্র না থাকলে হোটেলে ঘর মিলবে না পাহাড়ে

জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন হোটেল অথবা রিসর্টে পর্যটক আসার ক্ষেত্রে বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন নির্দিষ্ট বিধি জারি করেছে। অর্ডারে স্পষ্টভাবে বলা আছে পর্যটকদের রিসোর্ট বা হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনেশনের দুটি ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট অথবা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে RT PCR রিপোর্ট নেগেটিভ এর শংসাপত্র থাকতে হবে। না থাকলে হোটেল বা রিসোর্টে ঘর নিয়ে থাকা যাবে না এই নয়া নির্দেশ প্রকাশ করেন জলপাইগুড়িতে জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু। জেলা শাসকের সেই অর্ডারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রিসোর্ট মালিকদের তরফে ৭ দফা দাবির ভিত্তিতে মেটেলির বি ডি ও কে স্মারকলিপি দেওয়া হলো। রিসোর্ট মালিকদের সংগঠন গরুমারা টুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েসনের তরফে এদিন ওই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। রিসোর্টে আসা পর্যটকদের RT PCR রিপোর্টের পরিবর্তে রেপিড এন্টিজেন টেস্ট রিপোর্টকে বৈধতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।এছাড়াও অন্যান্য দাবি জানানো হয়।মেটেলির বি ডি ও বিপ্লব বিশ্বাস দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন।

পর্যটকরা এই শর্ত না মানলে জলপাইগুড়ি জেলার কোন হোটেল অথবা রিসোর্টে থাকা নিষেধ বলে পরিষ্কার ভাবে সরকারি অর্ডারে উল্লেখ আছে।এই অর্ডারে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়েছে পর্যটন ব্যাবসায়ীরা।

গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসনের সম্পাদক দেবকমল মিশ্র বলেন, করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে অনেকদিন পর পর্যটন ব্যবসাটি ধীরে ধীরে আবার শুরু হয়েছে কিন্তু আবার এই নির্দেশিকা পর্যটন ব্যবসার গ্রাফ নেমে যেতে শুরু করবে এই নতুন অর্ডারের ফলে। এর ফলে পর্যটকরা ডুয়ার্সে আসতে অনীহা দেখাবে। তাহলে আমরা এই ব্যবসা কি করে সামাল দিব? কি করে খরচ বহন করব? কিছুই বুঝতে পারছিনা।সরকারি ওই অর্ডার বিষয়ে আমরা পরিস্কার না।ওই অর্ডারের ফলে ডুয়ার্সে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হবে।পর্যটন ব্যাবসাকে ফের ছন্দে ফেরানোর জন্য সরকারি সেই নির্দেশিকাকে সরল করার দাবি জানানো হয়।এদিনের স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তজমল হক, কোষাধ্যক্ষ জীবন ভৌমিক,সহ সভাপতি পরিমল রাউথ, সহ সম্পাদক শেখ জিয়াউল রহমান, মহেশ্বতা রায় প্রমুখ।

 

 

Previous articleপাক সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ আফগান সেনাঘাঁটিতে তালিবানি কবজা!
Next articleতিনধাপে দিঘার উন্নয়ন: সুসজ্জিত মোবাইল ভ্যান প্রদান করে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর