দলত্যাগ করেও সাংসদ পদে ইস্তফা নয় কেন? শিশির-সুনীলকে স্পিকারের জবাব তলব চিঠি

তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলকে অবশেষে নোটিশ ধরাল লোকসভার সচিবালয়। সচিবালয় সূত্রে খবর, দলত্যাগ বিরোধী আইনের পরিপ্রেক্ষিতেই কাঁথি ও পূর্ব বর্ধমানের দুই সাংসদকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার মাত্র ৪দিন আগে এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে দুজনকে।

বিধানসভা ভোটের বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। অন্যদিকে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়ে শুভেন্দুকে সরাসরি সমর্থন করেন। শুধু তাই নয় শিশির প্রকাশ্যে জানান, তিনি আর তৃণমূলে নেই। দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিলেও দুই সাংসদ কিন্তু সাংসদ পদ ছাড়েননি। আর ঠিক এই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন। জানতে চান, কেন দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়া এই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হবে না! মূলত তৃণমূলের পর পর চিঠি এবং লাগাতর সরব হওয়ার কারণে চাপে পড়েই স্পিকার দুই সাংসদকে নোটিশ পাঠাতে বাধ্য হলেন। দেখার বিষয়, প্রত্যুত্তরে কী লেখেন দুই সাংসদ।

তবে রাজনৈতিকমহল মনে করছে, আসলে এর পিছনে সুকৌশলী চাল রয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছে বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক হিসাবেই বিধানসভায় মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করা হয়েছে। শিশির-সুনীলকে নোটিশ ধরানোর পর মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির আওয়াজ যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন- NHRC-এর রিপোর্টে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা ‘কুখ্যাত অপরাধী’, দাবি CBI তদন্তেরও

Previous articleদলীয় কর্মসূচিতে “গরহাজির”-এ রেকর্ড গড়া বিজেপির তিন বিধায়ক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
Next articleকরোনার কোপে বন্ধ তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা, নিষেধাজ্ঞা বাঁকযাত্রাতেও