করোনার জেরে বন্ধ মনিবদের আয়, কার্যত না খেতে পেয়ে একাধিক ঘোড়ার মৃত্যু কলকাতায়

মনিবদের আয় ভালো হলে ঘোড়ারও ভালো খাবার জোটে। কিন্তু মনিবদেরই যদি খাবার না জোটে… করোনাকালে বন্ধ ছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। ছিল না পর্যটকদের ভিড়। সেই কারণে বন্ধ ছিল রোজগার। আর তাতেই মালিকদের প্রিয় পোষ্যদের দেখা দিয়েছিল খাদ্যাভাব। অভিযোগ, কার্যত অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৫ টি ঘোড়ার।

হেস্টিংসের বিদ্যাসাগর সেতুর নীচে প্রায় ৩৫টি ঘোড়ার গাড়ি এবং ৬০টি ঘোড়ার আস্তানা। রাজ্যে বিধি-নিষেধ চলাকালীন অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ সামাদ এবং মহম্মদ কায়ুমের দুটি ঘোড়ার। তাঁরা বলছেন, “ঘোড়ার খাবারের কিনতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ টাকা খরচ হয়। তার সঙ্গে রয়েছে ওষুধ, ডাক্তার খরচ। তিনমাস ব্যবসা বন্ধ। নিজেদেরই খাবার জুটছে না ঠিকভাবে। ঘোড়াকে কী খাওয়াব? মাঠের ঘাস খেয়ে ক’দিন পেট ভরিয়েছে। কিন্তু সারা বছর পেট ভরানোর মতো শহরে এত ঘাস কোথায়?”

আরও পড়ুন-৮ বছরের অংক ১ ঘণ্টায় শেষ, সুপারকম্পিউটার বানালো চিন

অন্যদিকে রাজাবাজারেও ঘোড়া মারা গিয়েছে। শেখ আসগর বলেন, “গত বছর থেকে আমাদের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। গত বছর লকডাউনে সবথেকে বেশি ঘোড়া মারা গিয়েছিল।” আসগর জানিয়েছেন, এ বছরও তাঁর দু’টি ঘোড়া মারা গিয়েছে। গত বছর লকডাউনে হেস্টিংসে প্রায় ৭ টি ঘোড়া মারা গিয়েছিল। এর মধ্যে মহম্মদ সাদ্দারের ২ টি ঘোড়া ছিল। তিনি জানান, তাঁর ৩ টি ঘোড়া ছিল। গতবছরের লকডাউনে ২ টি মারা গিয়েছে। এখন একটি ঘোড়া রয়েছে। তার ঠিকমতো খাবার জোগাড় করতে না পারায় শারীরিক অবস্থা খারাপ।

গত বছর লকডাউনে রাজ্য বনদফতর থেকে ঘোড়ার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের পক্ষ থেকেও খাবার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর তা হয়নি।

 

Previous articleহরিদেবপুরে ধৃত জঙ্গিদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, মিলল নয়া জঙ্গি সংগঠনের হদিশ
Next articleচোটের কারণে প্রথম ম‍্যাচে নামতে পারলেন না সঞ্জু স‍্যামসন, ছিটকে যেতে পারেন সিরিজ থেকেও