করোনায় বন্ধ জল্পেশের শ্রাবণী মেলা, খোলা থাকছে মন্দির

প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে জল্পেশ মন্দিরে ভক্তরা দূরদূরান্ত থেকে যান জল ঢালতে। ফলে এক মাস ধরে চলতে থাকা শ্রাবণী মেলায় ভিড় উপচে পড়ে। শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক রবিবার রাতে ভক্তরা জল্পেশে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রাত জেগে সোমবার জল ঢেলে প্রার্থনা করেন। এরপরে মেলা ঘুরে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু করোনাকালে এবার সবই বন্ধ। শুধু খোলা থাকছে মন্দির।

উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ি (Maynaguri) ব্লকের শিবতীর্থ জল্পেশ ধাম। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে মেলা বসে জল্পেশ মন্দির (Jalpesh) চত্বর-সহ মেলার মাঠে। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও অন্যান্য জেলার থেকেও প্রচুর পুণ্যার্থীর সমাগম হয় জলপেশ ধামে। এমনকী, নেপাল (Nepal), ভূটান (Bhutan), বাংলাদেশের (Bangladesh) লক্ষাধিক ভক্ত জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। ফলে ‘বোলে-বোম’ ধ্বনিতে ভরে যায় জল্পেশ সংলগ্ন এলাকা। তিস্তায় স্নান সেরে সেখান থেকে জল নিয়ে ভক্তরা পায়ে হেঁটে মন্দিরে যান।

মেলার আগেই পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় বিভিন্ন দোকানিদের। নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ প্রশাসন এবং ‘সিসিটিভির সাহায্যে নজরদারি চালানো হয়।

কিন্তু গতবারের মতো এবারও বাধ সেধেছে করোনা (Carona)। এবছর বন্ধ মেলা। ভক্তদের জন্য মন্দিরে প্রবেশ দ্বার খোলা থাকছে বলে জানান মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব।

মন্দির কমিটির ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, ‘করোনার জেরে বন্ধ এবছরের শ্রাবণী মেলা। ভক্তদের জন্য খোলা থাকছে মন্দিরের প্রবেশ দ্বার। তবে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। দশজন করে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে। গৌরীপীঠ স্পর্শ করতে পারবে না ভক্তরা। দূর থেকে জল ঢেলে চলে যেতে হবে। নিরাপত্তার দিকটি ক্ষতিয়ে দেখবে প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির ভলান্টিয়ার্সরা। ছবি শ্রাবণী মেলা বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি হবে বলে জানাচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

 

Previous articleপুলিশে চাকরির দাবিতে ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষোভ
Next articleদীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে পাঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব সিধুর কাঁধে দিলেন সোনিয়া