বিরোধীদের প্রবল হট্টগোলের জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি লোকসভা

আশঙ্কা ছিলই। হলও তাই। বিরোধীদের(opposition) প্রবল হই হট্টগোলের জেরে দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভার(parliament) বাদল অধিবেশন(monsoon session) মুলতুবি করলেন স্পিকার ওম বিড়লা(Om Birla)।

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। করোনা পরিস্থিতির মাঝে দেশের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, সরকারের একের পর এক ব্যর্থতা, কৃষক আন্দোলন সহ একাধিক ইস্যুতে বাদল অধিবেশনে সরকারকে ঘেরাও করতে প্রস্তুত হয়ে এদিন মাঠে নামে বিরোধীরা। অধিবেশনের শুরুতেই ভাষণ দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বক্তব্য পেশ করা শুরু করতেই হই হট্টগোল শুরু করে দেন বিরোধী সাংসদরা। এরপর বক্তব্য থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয়, “আপনারা সংসদের সম্মানহানি করছেন।” এ বিষয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। অতঃপর বিরোধীদের থামাতে তৎপর হতে দেখা যায় স্পিকার ওম বিড়লাকে। সাময়িকভাবে হই- হট্টগোল থামার পর ভাষণ দিতে ওঠেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

আরও পড়ুন:পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ: সাইকেলে চড়ে সংসদে তৃণমূল সাংসদরা

কিন্তু তিনি বক্তব্য শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের হাঙ্গামা শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। প্রবল চিৎকার শুরু হয় সংসদের অন্দরে। পরিস্থিতি বেলাগাম হতেই এরপর বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করেন স্পিকার ওম বিড়লা। দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন তিনি। উল্লেখ্য, সংসদ অধিবেশনে বিরোধীদের তরফে পেট্রোল ডিজেল, গ্যাস সহ দেশব্যাপী ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে প্রস্তুত। লোকসভা এবং রাজ্যসভার দুই জায়গাতেই বিরোধী সাংসদদের তরফে সমস্ত কাজ স্থগিত করে জনস্বার্থে জড়িত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে করোনা মহামারীর পাশাপাশি রয়েছে, ফোন ট্যাপিং ও কৃষক আন্দোলনের মতো বিষয়গুলো। ৬টি বিষয়ে আলোচনা চেয়ে ইতিমধ্যেই নোটিশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে গুলি হল…

১. জ্বালানীর আকাশ ছোঁওয়া দাম বৃদ্ধি
২. কৃষক বিরোধী কৃষি আইন
৩. কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগে কেন্দ্রের ব্যর্থতা
৪. অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার ক্রমশ নিম্নগামী হওয়া
৫. সাংসদ তহবিলের অর্থে কোপ এবং সাংসদদের কাজে বাধা
৬. দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে কেন্দ্রের সরকারের উপেক্ষা করা