হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) প্রকাশিত বক্তব্য বা পাঠানো মেসেজ কোনও মামলার প্রামাণ্য (authentic) দলিল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। পাশাপাশি এও বলল, হোয়াটসঅ্যাপে চালাচালি করা মেসেজ ব্যবসায়িক চুক্তির ক্ষেত্রে কোনও মামলার প্রামাণ্য দলিল হতে পারে না। প্রধান বিচারপতি আর ভি রামানা, বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ এই মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, আজকাল হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের প্রামাণ্য নথি হিসেবে কী মূল্য রয়েছে? এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি ইচ্ছে লেখা যায় এবং ডিলিট করা যায়। তাই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজকে কোনও মূল্য দিতে চাই না।

প্রসঙ্গত, দুটি বাণিজ্যিক সংস্থার মামলা এবং দিল্লি পুরসভা ও এটুজেড নামে এক সংস্থার চুক্তির ভিত্তিতে ওঠা প্রশ্নে এই মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ২০১৬ সালের ২ ডিসেম্বর আবর্জনা সরানোর জন্য এটুজেড সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয় দিল্লি পুরসভার। ২০১৭ সালের এপ্রিলে অন্য আর একটি সংস্থা কুইপ্পোকে আংশিক আবর্জনা সরানোর ভার দেয় এটুজেড সংস্থা। এই নিয়ে দুই সংস্থার চুক্তিও হয়। গত বছর ২৮ মে কুইপ্পোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে এটুজেড সংস্থা। এর পরেই কুইপ্পো হাইকোর্টে মামলা করে। তারা এটুজেড সংস্থার করা একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দাখিল করে। সেখানে লেখা, কুইপ্পো সংস্থার ৮.১৮ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে এটুজেড। কিন্তু আদালতে এই অভিযোগ খারিজ করে এটুজেড। দাবি ও পাল্টা দাবি নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
