প্রায় ৯ ঘণ্টার দীর্ঘ চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে মহেশতলার শিল্পতালুকের আগুন

প্রায় ৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এলো মহেশতলার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড।যদিও এখনও দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পকেট ফায়ার খুঁজে তা নেভানোর কাজ করেছে। দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,  ৪ টি গোডাউন কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।দমকলের ১৩ টি ইঞ্জিন, রোবট এবং ফোমের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল সূত্রের খবর, কারখানার আশেপাশে পর্যাপ্ত জল না থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। আপাতত নতুন করে আগুন ছাড়ানোর কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা। তবে কার্যত পুড়ে ছাই কারখানা।

মঙ্গলবার মহেশতলায় (maheshtala chemical factory) কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে।  এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫ জন শ্রমিক জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। প্রথমে দমকলের ছটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় একের পর এক ইঞ্জিন এলেও আগুন ক্রমাগত বিধ্বংসী চেহারা নিতে থাকে। স্যানিটাইজারের গোডাউন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি কাগজের গোডাউনে। আগুনের জেরে চারদিক কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। পে লোডার দিয়ে কারখানার দেওয়াল ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টাও করা হয়। আগুন নেভাতে আনা হয় রোবট।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা গিয়েছে, এদিন সকালের দিকেই কারখানায় রাখা রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানায়। বিস্ফোরণের জেরে ৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।