আজ ২১ জুলাই  ভার্চুয়াল সমাবেশে মমতার বক্তব্য শুনবেন কয়েক কোটি মানুষ

এবারও ২১ জুলাই ভার্চুয়াল সমাবেশের (vertual meeting) ওপরের নির্ভর করতে হচ্ছে তৃণমূলকে (trinamool congress)। তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। কেননা এবার বিজেপিকে (bjp) পর্যুদস্ত করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। সামনে লক্ষ্য ২০২৪।

আর কয়েক ঘণ্টা পরেই ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে বুথ ভিত্তিক অংশগ্রহণ করবেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা । এক্ষেত্রে দুদফায় বুথস্তরের কর্মীরা কর্মসূচি পালন করতে পারবেন। প্রথম পর্যায়ে প্রতি বুথে সকাল ১০ টায় ৫০ জন করে কর্মী সমবেত হবেন। এক্ষেত্রে সবরকমের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতে হবে এবং ১৯৯৩-এর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দুপুর দুটোয় বুথ কর্মীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মিলিত হবেন। সেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে হবে তাঁদের। এব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার বিধায়কদের।
যে সব বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের বিধায়ক নেই, সেই জেলার সভাপতি কিংবা ব্লক সভাপতিরা দায়িত্ব সামলাবেন।

এক নজরে রাজ্যে একুশে ২১ জুলাই কর্মসূচি-

প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দেবেন দুপুর ২টো নাগাদ। দুপুর ২টো থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য লাইভ দেখানো ও শোনানো হবে।
সেখানে হাজির থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম-সহ প্রথম সারির নেতৃবৃন্দ।

রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটিতে সভা হবে একটি কেন্দ্রীয় জায়গায়। সেখানেই মঞ্চ থাকবে৷ বিধায়ক, পঞ্চয়েত সদস্য, কাউন্সিলর-সহ নেতারা থাকবেন। জায়েন্ট স্ক্রিন থাকবে। দুপুর একটা থেকে অল্প কিছু নেতা-কর্মীরা হাজিরায় হবে ভার্চুয়াল সমাবেশ। বিধায়ক বা গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

ধর্মতলায় ভিক্টরিয়া হাউসের সামনে থাকবে শহিদ তর্পণের ব্যবস্থা। দুপুর ১২টা নাগাদ সেখানে হাজির থাকবেন দলের প্রথম সারির নেতারা। ২১ জুলাই উদ্যানে থাকবেন প্রথম সারির নেতারা। কোভিড বিধি মেনেই সব ব্যবস্থা থাকতে বলা হয়েছে।

কলকাতার শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, লেকটাউন, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, চেতলা, টালিগঞ্জ, হাজরা-সহ একাধিক জায়গায় থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন।
এর পাশাপাশি এবার ২১ জুলাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ অসম, ত্রিপুরা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতেও শোনানো হবে। তাই সব মিলিয়ে কয়েক কোটি মানুষ আজকের কর্মসূচিতে থাকবেন বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস