অধিকারীদের মৌরসীপাট্টা ঘুচছে, কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্কে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অনাস্থা

কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’তে এখন অশান্তির হাওয়া। বাড়ির কর্তা হারাতে পারেন তাঁর সাংসদ পদ। বাড়ির এক ছেলে হারিয়েছেন পুর প্রশাসক পদ। আর এক পুত্রর ২০২৪-এর পর সাংসদ পদ হারানো শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর পরিবারের ‘রত্ন’ শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের তিন দফতরের মন্ত্রী, দলের সর্বোচ্চ কমিটি, HDA ও HRBC-র চেয়ারম্যান পদ হারিয়ে এখন শুধুই বিরোধী দলনেতা। আর এবার শুভেন্দুর হাত থেকে একে একে সমবায় ব্যাঙ্কগুলির চেয়ারম্যান পদগুলিও হাতছাড়া হচ্ছে। কোথাও শুভেন্দু নিজেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান, কোথাও ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান, আবার কোথাও বসে নিজের পেটোয়া লোক। এবার সেসব মৌরসীপাট্টা শেষ হতে চলেছে একে একে৷
কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্ক, যাকে কেন্দ্র করে বহু অভিযোগ, সেই ব্যাঙ্কের ইউনিয়ন সভাপতির পদ হারাতে চলেছেন শিশির-পুত্র। তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সময় এই পদগুলিতে একটার পর একটায় থাকলেও বিজেপিতে এসে নৈতিকতা দেখিয়ে পদগুলি ছাড়েননি। ইতিমধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্কে। ১৪জন ডিরেক্টরেটের মধ্যে ১১জন অনাস্থায় স্বাক্ষর করেছেন। জমা পড়েছে ইউনিয়ন সভাপতি হরিসাধন দাস অধিকারীর কাছে। ২ অগাস্ট ইউনিয়ন বৈঠক। সব ঠিক থাকলে সেই বৈঠকেই কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত ব্যাঙ্কের ইউনিয়ন সভাপতির পদ হারাতে চলেছেন শুভেন্দু।
অধিকারী গড়ের মিথ কার্যত ধুলোয় মিশতে চলেছে। প্রমাণিত, সব উত্থানই আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের দৌলিতে। খাস তালুকে একুশের ভোটের ফলও অধিকারীদের কাছে লজ্জাজনক। কাঁথি ছাড়া কোথাও অধিকারীরা জিততে পারেনি। জেলার বাকি যে ৫টি আসন বিজেপি পেয়েছে সেখানে অধিকারীদের কোনও ভূমিকা নেই। জেলার বাম ভোট গিয়েছে বিজেপিতে, সঙ্গে বিজেপির ভোট। ফলে শান্তিকুঞ্জে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কেন দল বদলে বিজেপিতে যাওয়া? সব হারিয়ে কী এবার জেলযাত্রা? প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভঙ্কর চক্রবর্তীর রহস্য মৃত্যুর তদন্ত যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে অনেক বিরোধী নেতাই তেমন অনুমান করছেন।

Previous articleউচ্চমাধ্যমিকের পর মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষাতেও জয়জয়কার মুর্শিদাবাদের! “প্রথম” সারিফা খাতুন
Next articleতিরন্দাজের মিক্সড ডাবলস থেকে ছিটকে গেলেন দীপিকা-প্রবীণ জুটি, ব‍্যাডমিন্টনে হার প্রনীথের