“খেলা হবে” নিয়ে জাভেদকে গান রচনার অনুরোধ মমতার, দেশে পরিবর্তন চান সেলেব দম্পতি

শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) এবারের দিল্লি সফর প্রতিমুহূর্তে শিরোনামের জন্ম দিচ্ছে। চতুর্থদিনও তার ব্যতিক্রম নয়। এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া বিখ্যাত কবি-লেখক জাভেদ আখতারকে (Javeb Akhtar) তৃণমূল (Tmc) সুপ্রিমো অনুরোধ করলেন “খেলা হবে” নিয়ে গান লিখতে।

দিল্লি সফরের চতুর্থদিনে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রীয় জাতীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক ছিল। তারপরে ডিএমকে (Dmk) সংসদ কানিমোঝির (Kanimojhi) সঙ্গে বৈঠক করেন বিকেল চারটেয়। বিকেল পাঁচটায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান বিখ্যাত কবি জাভেদ আখতার এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী শাবানা আজমি (Shabana Azmi)। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়। বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাভেদ আখতার স্পষ্ট জানান, দেশে গণতন্ত্র বিপর্যস্ত। তাকে প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবর্তন প্রয়োজন। এবার বিধানসভা নির্বাচনে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল তৃণমূলের “খেলা হবে” স্লোগান। দিল্লি সফরে তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, “এতদিন বাংলায় খেলা হয়েছে। এবার দেশজুড়ে খেলা হবে”। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনেই জাভেদ আখতারকে “খেলা হবে” নিয়ে গান লেখার অনুরোধ জানান মমতা।

 

2011 সালের আগে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল বুদ্ধিজীবী মহল। সেই তালিকায় ছিলেন লেখক-শিল্পী-অভিনেতা-অভিনত্রীরা। সেই উদাহরণ তুলে ধরে এদিন সাংবাদিকরা জাভেদ আখতারকে প্রশ্ন করেন, “আপনিও কি মনে করেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন?” উত্তরে জাভেদ আখতার বলেন, “দেশে অশান্তি-ভেদাভেদের বাতাবরণ রয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবর্তন প্রয়োজন”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সেই পরিবর্তনের মুখ? এর উত্তর অবশ্য প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতোই এড়িয়ে জাভেদ বলেন, “কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটা বড় কথা নয়। ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই আসল লক্ষ্য”।সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ না খুললেও জাভেদের কথায় পাশ থেকে হাততালি দিয়ে সমর্থন জানাতে থাকেন শাবানা আজমি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের সফর বিজেপি বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ করায় লক্ষ্যে। নিজেও সে কথা একাধিকবার বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস, আপ নেতাদের পাশাপাশি এদিন ডিএমকে নেত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। যদিও বৈঠক শেষে কানিমোঝি সংবাদমাধ্যমে সেভাবে কিছু মন্তব্য করতে চাননি। শুধু জানান, “কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়নি। বাংলা নির্বাচনে জেতার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছি”।

শুক্রবারে কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এবারের সফর শুধু দিল্লিতে নয়, সারা দেশের রাজনীতিতেই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। বিজেপি (Bjp) বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং সেই জোটে বুদ্ধিজীবী মহলকে সামিল করার বার্তাও এদিন দিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো- মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

Previous articleভোররাত পর্যন্ত হুল্লোড়-ফূর্তি! হুক্কা বার থেকে গ্রেফতার ১০!
Next articleমিলন সিংকে  সই করাল মহামেডান স্পোর্টিং