মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানিতে অখুশি শুভেন্দু, যেতে পারেন আদালতে

PAC চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে (Mukul Roy) নিয়ে বিতর্ক থামার নয়। বিধানসভায় (Assembly) বিজেপির (BJP) প্রতীকে জেতা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানির দ্বিতীয় দিনে আজ, শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Speaker Biman Banerjee) কক্ষে যান বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) তথা অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু শহরের বাইরে থাকায় এদিন হাজির ছিলেন না মুকুল। এরপর প্রায় আধ ঘণ্টা অধ্যক্ষের ঘরে থাকার পর বেরিয়ে এসে শুভেন্দু জানান, মুকুলের রায়ের উপর দলত্যাগ আইন কার্যকরে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা। অর্থাৎ, বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত, এই ইস্যুতে এদিন অধ্যক্ষের সঙ্গে সদার্থক আলোচনা হয়নি। যদিও কোনও পক্ষই খোলসা করে কিছু বলেননি।

এদিন শুনানি পর্বে শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য ও কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। শুভেন্দু এই ইস্যুতে কিছু না জানালেও বিজেপি’র পরিষদীয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয় নিয়ে বেশিদিন অপেক্ষা করবেন না তাঁরা। যদি এ ভাবে সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে দ্রুত আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আদালতে এই বিষয়ে মামলা করবেন খোদ বিরোধী দলনেতাই।

অন্যদিকে, আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আর রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান সংক্রান্ত মামলাটিকে কেন ‘’জনস্বার্থ মামলা’’ বলা হবে? মামলাকারীর কাছে তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত আরও জানিয়েছে, ওই মামলা কেন জনস্বার্থ মামলা হিসেবে আদালতে গ্রাহ্য হবে, তা আগামী ৪ অগস্টের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আকারে জানান মামলাকারী। প্রত্যুত্তরে রাজ্যও তার মতামত জানাবে।

আরও পড়ুন- দিলীপের কাছে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে ফোনে হুমকি দেওয়ার বিস্ফোরক নালিশ যুব মোর্চার একাংশের

 

 

Previous articleসেমিফাইনালে উঠেই নিজের পরবর্তী পরিকল্পনা জানিয়ে দিলেন সিন্ধু
Next articleপ্রকাশিত হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের বই ‘Forging An Audacious City’