তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায়(Jago bangla) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) ইতিহাসের ‘সেরা বাঙালি মহিলা রাজনীতিবিদ’ আখ্যা দিয়েছেন অনিল বিশ্বাসের(Anil Biswas) কন্যা অজন্তা বিশ্বাস(Ajanta Biswas)। এই ঘটনায় বিতর্ক চরম আকার ধারণ করেছে। যার জেরে শোকজের(show cause notice) মুখে পড়তে হলো অজন্তা বিশ্বাসকে। অবিলম্বে এ বিষয়ে অজন্তার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি। এদিকে অজন্তার বিরুদ্ধে সিপিএমের এমন পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

বিগত কয়েকদিন ধরেই জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে ‘বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি’ নামক একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস। বেশ কয়েকটি কিস্তিতে প্রকাশিত এই লেখা নিয়ে ক্ষোভ বাড়েছে বাম শিবিরের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। তার জেরেই দলের সাংগঠনিক কমিটিকে অজন্তার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি। সেইমতো অজন্তাকে শোকজ নোটিশ ধরায় সিপিএম। এদিকে সিপিএমের উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করে টুইট করেন কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি লেখেন, “যারা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসকে টেনে অজন্তাকে কুৎসিত আক্রমণ করছে, তারা মনে রাখুক একাধিক সিপিএম ও বাম নেতা একাধিক কারণে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত অনুরোধও নেত্রী রক্ষা করেছেন। সেগুলো লেখা রুচিবিরুদ্ধ। কিন্তু বাধ্য করবেন না।”

যারা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসকে টেনে অজন্তাকে কুৎসিত আক্রমণ করছে, তারা মনে রাখুক একাধিক সিপিএম ও বাম নেতা একাধিক কারণে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত অনুরোধও নেত্রী রক্ষা করেছেন। সেগুলো লেখা রুচিবিরুদ্ধ। কিন্তু বাধ্য করবেন না।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 1, 2021
উল্লেখ্য, তিনটি কিস্তিতে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় বঙ্গরাজনীতিকে নারীশক্তি নামক একটি প্রতিবেদন লেখেন অজন্তা বিশ্বাস। যার তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। অনিল কন্যা বিশদে আলোচনা করেছেন কী ভাবে সত্তরের শেষদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রাজনীতিতে পা রাখলেন, কী ভাবে ধাপে ধাপে তাঁর উত্তরণ হল। শেষমেষ যে ভাবে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামকে হাতিয়ার করে তিনি মানুষের মন জয় করে ক্ষমতায় এলেন সেই আখ্যানও ছুঁয়ে গিয়েছেন অনিল কন্যা। ইতিহাসের অধ্যাপক অজন্তা ভূয়শী প্রশংসা করেছেন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী-র মতো নারীকেন্দ্রিক প্রকল্পগুলির। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ ও প্রশংসিত হয়েছে অজন্তার লেখনীতে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সিপিএম। ফলস্বরূপ তৃণমূল মুখপত্রে লেখার জন্য জবাবদিহি করে নোটিশ পাঠানো হলো অজন্তাকে।
