মহিলা ফুটবলের ‘সুপার পাওয়ার’ মানেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের চারবার অলিম্পিকে সোনা জেতার নজির আছে। কিন্তু সেই দলকেই বাড়ি ফেরার রাস্তা দেখিয়ে দিল কানাডার প্রমীলা বাহিনী। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে প্রথমবার ফাইনালের ওঠার সুযোগ পেয়েছিল কানাডা। কিন্তু এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেই সেবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাঁদের। তবে ৯ বছর পর তার বদলা নিল কানাডিয়ানরা। ২০১৬ সালে চেষ্টা করেও এটা সম্ভব হয়নি।

কাসিমা স্টেডিয়ামে সেই সেমিফাইনালেই ১-০ ব্যবধানে জিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিল তারা। সেইসঙ্গে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে পা রাখল কানাডার মহিলা ফুটবল দল।
ঐতিহাসিক এই জয়ে কানাডার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মিডফিল্ডার আলেকজান্দ্রা ফ্লেমিং জেসি। পেনাল্টি থেকে আসে এই জয়সূচক গোল। আগামী ৬ অগস্ট সোনা জয়ের লড়াইতে নামবে কানাডা।
আমেরিকা মহিলা দলকে মনে করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। কিন্তু কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে তারা জেতার মতো খেলতে পারেনি। নিজেদের মধ্যে ছিল না কোনও সমন্বয়। ছন্দ এবং গতিহীন খেলেছে তারা। খেলোয়াড়দের ভুল করতে দেখে কোচ অ্যানডোনভস্কি টাচ লাইন থেকে বার বার হতাশা ব্যক্ত করতে থাকেন।
