বিনিয়োগ বান্ধব বাংলার মুকুটে চারটি স্কচ পুরস্কারের স্বীকৃতি

বিনিয়োগ বান্ধব বাংলার কাজের স্বীকৃতি। মিলল স্কচ পুরস্কার। তাও এক-দুটো নয়, চার-চারটে। রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক। ইজ ওফ ডুইং বিজনেস অর্থাৎ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য আন্তর্জাতিক স্কচ পুরস্কার পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।তার মধ্যে ব্যবসার ক্ষেত্রে আদর্শ রাজ্য হিসেবে স্কচ প্ল্যাটিনাম (Skoch Platinum) পুরস্কার জিতে নিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল হওয়ায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। যে চার ক্ষেত্রে স্কচ অ্যাওয়ার্ড ঝুলিতে এসেছে, সেই পরিষেবার সঙ্গে জড়িতদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়াকে আরও সরলীকরণ করার কাজ চালিয়ে যাবে বাংলা। গোটা দেশের মধ্যে এ রাজ্যেই সবচেয়ে সহজে ব্যবসা করা যায়। যাঁদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এই সম্মান এল, তাঁদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি”।

 

যে চার ক্ষেত্রে এবার রাজ্য স্কচ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ বা শিল্পসাথী প্রকল্প। ব্যবসার শুরুর সময় লালফিতের জট কাটাতে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম ‘শিল্পসাথী’ চালু হয়েছে। এবার সেই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাল গোটা দেশ। ‘শিল্পসাথী’র পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু প্রক্রিয়া সরলীকরণের জন্য ‘স্কচ সিলভার’ অ্যাওয়ার্ড এসেছে রাজ্যের ঝুলিতে। অনলাইনে ডিড তৈরি, অনলাইনেই তা সাবমিট করার প্রক্রিয়া চালু করার জন্য (ই-নথিকরণ) স্কচ সিলভার পুরস্কার মিলেছে। আর শহরাঞ্চলে অনলাইন সার্টিফিকেট নবীকরণের জন্য ‘স্কচ গোল্ড’ পুরস্কার ও এসেছে রাজ্যের ঝুলিতে। গত কয়েক বছর ধরে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে একের পর এক সাফল্য পেয়েছে বাংলা। পরিবহন-সহ নানা ক্ষেত্রে উন্নতিকরণের কারণেই অন্য রাজ্যগুলিকে টেক্কা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে একের পর এক পালক।

 

 

 

Previous articleতৎপর কমিশন, রাজ্যে শুরু উপনির্বাচনের জোরদার প্রস্তুতি
Next articleঅভিষেকের উপর হামলার প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাল নদিয়ার তৃণমূল সমর্থকরা