বামেরা ব্যর্থ, ত্রিপুরায় বিজেপিকে হটাতে পারে তৃণমূলই: কুণাল

সোমবার ত্রিপুরায় সূচনাটা করে দিয়ে এসেছিলেন তৃণমূলের (Tmc) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। এবার সেই লড়াই ভিত আরও মজবুত করতে সেখানে গিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বুধবার সকালে, আগরতলা (Agartala) পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় কুণাল জানান, যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হচ্ছে, সেই ভাবেই ত্রিপুরাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তৃণমূল। আর সারা দেশে বিজেপির (Bjp) বিজয়-রথ থামিয়ে দেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দফায় দফায় বাংলায় এসেও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে পদ্ম বনে ঝড় তুলতে পারেনি। উল্টে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির।

কুণাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর (Nripen Chakraborty) সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। রাজনৈতিক মতাদর্শে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করলেও মানিক সরকারকে (Manik Sarkar) তিনি শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু সে রাজ্যে বিজেপির বিরোধিতায় বিকল্প হতে ব্যর্থ হয়েছে বামেরা (left)। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল একমাত্র বিজেপির এই অপশাসন থেকে ত্রিপুরাবাসীকে মুক্ত করতে পারে।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের মতে, ত্রিপুরার প্রাকৃতিক সম্পদ অফুরান। সম্ভাবনা রয়েছে অনেক কিছুর। কিন্তু অপশাসনের ফলে এ রাজ্যে সামান্যতম উন্নতি হয়নি। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তৃণমূলের নেতৃত্বে ত্রিপুরাতে উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী কুণাল। দুদিনের সফরে সাংগঠনিক বৈঠক এবং সাংবাদিক বৈঠক সহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। এদিন বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তাঁকে পুষ্পস্তবক-উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানান ত্রিপুরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।

 

 

Previous articleসংসদে আগে পেগাসাস-চর্চা: দাবিতে অনড় তৃণমূল-সহ বিরোধীরা, টুইট ডেরেকের
Next articleদ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা বক্সার হিসাবে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পেলেন লভলিনা