পেগাসাস: অভিযোগের সমস্ত নথি কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court

পেগাসাস ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিচারপতিদের পাশাপাশি প্রায় ৩০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির ফোনে আড়িপাতার ঘটনায় তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ২ সাংবাদিক। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার আদালত জানালো কেন্দ্র আদালতে এলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি অভিযোগের বয়ান কেন্দ্রের কাছেও পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আড়িপাতার ঘটনা তদন্তের আবেদন জানিয়ে সাংবাদিকদের পাশাপাশি বেশ কিছু লিখিত হলফনামাও দাখিল করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ অগাস্ট হবে বলে জানানো হয়েছে আদালতের তরফে। পাশাপাশি আদালতের তরফের শর্ত দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী শুনানির আগে পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে অভিযোগের নথি কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে হবে মামলাকারীকে। কেন্দ্র আদালতে এলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস মামলার শুনানিতে এদিন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণ বলেন, “অভিযোগ অত্যন্ত মারাত্মক। কিন্তু, শুধুমাত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা হয়না। কোথাও কোনো অপরাধী অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে কি ? যাদের নাম উঠে আসছে তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাশালী মানুষ। এই মামলার নথিতে কিছুই নেই তা বলা যাবে না কিন্তু আরও অনেক তথ্যের প্রয়োজন।”

আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতকে বলেন, “শুধুমাত্র একটি ফোনের মাধ্যমে যেকোনো মানুষের ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। যা ব্যক্তি সুরক্ষার পাশাপাশি জাতীয় সুরক্ষার বিষয়। তাই পুরো বিষয়ে আদালতের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।” প্রসঙ্গত, পেগাসাস নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সংসদে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইজরায়েলের তৈরি একটি সফটওয়্যার ভারতের ১২২ জনের ফোনে আড়ি পেতেছে। সিব্বল জানতে চান, যদি কেন্দ্র জেনেই থাকে যে এমন হয়েছে, তবে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি কেন? তারা এতদিন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে কেন?

আরও পড়ুন:অমানবিক: ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা’কে প্লাস্টিক মুড়ে রাস্তায় ফেলে গেলো ছেলে-মেয়েরা

উল্লেখ্য, সিব্বল ছাড়াও ন’টি লিখিত হলফনামা জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সিব্বল এবং সেই সব আবেদনকারীর আইনজীবীদের আদালত প্রশ্ন করেছিল, তাঁদের অভিযোগের নথি কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে কি না। এরপরই তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তারা জানায়, তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার মতো প্রমাণ নেই। কেন্দ্র আগে আদালতে আসুক। তারপর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।