Saturday, December 27, 2025

‘দুয়ারে বিধায়ক’, যমজ শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উত্তম বারিক

Date:

Share post:

‘দুয়ারে বিধায়ক’ কর্মসূচিতে গিয়ে যমজ শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন পটাশপুরের তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) বিধায়ক উত্তম বারিক(Uttam Barik)।

বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার সংসারের আট মাসের দুই যমজ শিশু কঠিন রোগে আক্রান্ত। খাওয়ার জোটাতে যাদের ঘুম ছুটে যায় তারা এই শিশুদের চিকিৎসার খরচ কি করে জোগাড় হবে? এই চিন্তায় যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছিল পটাশপুরের ওই আদিবাসী পরিবার তখন সেই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিধায়ক উত্তম বারিক। দিলেন সমস্ত চিকিৎসার আশ্বাসও।

পটাশপুর ২ ব্লকের গোবর্ধনপুর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় ‘দুয়ারে বিধায়ক’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বিধায়ক উত্তম বারিক। তখনই তিনি যমজ দুই শিশুর অসুস্থতার কথা জানতে পারেন। পৌঁছে যান ওই বাড়িতে। মাটির দাওয়ায় বসে পরিবারটির সমস্যার কথা শোনেন তিনি। জানতে পারেন, দুই শিশুর বাবা লাঠি সিং দিনমজুরি করেন। সংসারের আর্থিক অনটন সামলাতে তাঁর স্ত্রী শকুন্তলাদেবী পরিচারিকার কাজ করেন। তাঁদের তিন মেয়ে এবং দুই যমজ ছেলে। দুই শিশুপুত্র বিরল রোগে আক্রান্ত। হঠাৎ করেই বেঁকে যাচ্ছে দুটি পা। অনটনের সংসারে পুষ্টির অভাবে দিন দিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু বিধায়ক উত্তম বারিক অসুস্থ এই দুই শিশুর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। চিকিৎসার জন্য এই পরিবারের হাতে নগদ কিছু টাকা দেন। তারপর সেই শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। সেই দুই শিশু এখন ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামে এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন- শহরে এসে মোদির সমালোচনায় দিল্লির স্পিকার, বাংলার প্রকল্প নিয়েও উচ্ছ্বসিত আপ বিধায়ক

বিধায়ক উত্তম বারিক জানান, ‘দুই শিশুর চিকিৎসার জন্য যা যা করার আমি করব। যতদিন না তারা সুস্থ হয়ে উঠছে, ততদিন চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করব। এই সুন্দর পৃথিবীতে ফুলের মত ফুটফুটে সেই শিশুদের বেড়ে ওঠার পেছনে দারিদ্রতা কোন বাধা হতে পারবে না।’ বিধায়ক দুঃস্থ এই আদিবাসী পরিবারের অসুস্থ শিশুদের পাশে দাঁড়ানোয়, বেজায় খুশি পটাশপুর ২ ব্লকের পচেট ৪ নম্বর অঞ্চলের বাসিন্দারা। স্থানীয় সুখলাল হেমব্রম বলেন , ‘দুয়ারে বিধায়ক কর্মসূচির সুফল পেল এই আদিবাসী পরিবার। কাঠিন অসুখে আক্রান্ত দুই শিশুর চিকিৎসার ব্যয়ভার, দুঃস্থ এই পরিবারের পক্ষে সামলানো প্রায় অসম্ভব ছিল। আর এমন মানব দরদী বিধায়ককে পেয়ে আমরা খুব খুশি।’

advt 19

 

spot_img

Related articles

যতই করো হামলা, আবার জিতবে বাংলা! গর্জন ১০ কোটির

যতই করো হামলা, আবার জিতবে বাংলা। নয়া স্লোগান এখন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মুখে মুখে। ২০২১-এর শোচনীয় হারের পর থেকে,...

সুরের মঞ্চে ইটবৃষ্টি: জেমসের ওপর হামলায় উত্তাল দুই বাংলা

ফের সুরের মঞ্চে আতঙ্কের ছায়া। বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুরে জনপ্রিয় রকস্টার জেমসের কনসার্টে বহিরাগতদের তান্ডবে তোলপাড় ওপার ও এপার...

এসআইআরের শুনানি শুরু হতেই আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা গোঘাটের গৃহবধূর

শনিবার থেকে বঙ্গে এসআইআরের শুনানি শুরু হয়েছে। ভোটার লিস্টে (Voter list) নাম না থাকায় হেয়ারিং-এ ডাক পেয়েছেন হুগলির...

৩৯ দিনেই বাংলাদেশের ভাঁড়ার থেকে শেষ হয়ে যাবে কন্ডোম! তারপর…

বাংলাদেশে ফুরিয়ে আসছে কন্ডোম (Condom)। হাতে আর মাত্র ১মাস ৯ দিন, তারপর কী হবে? উত্তর নেই কারোর কাছে।...