গান্ধীর পদার্পণ-এর ৭৫ বছর, ঐতিহ্য-আধুনিকতার মেলবন্ধনে সেজে উঠছে ঐতিহাসিক বাড়ি

নতুন রূপে সেজে উঠছে কলকাতার (Kolkata) বেলেঘাটার (Beleghata) গান্ধীভবন (Gandhi Bhavan)। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে এই ঐতিহাসিক বাড়িটি নতুন করে সংস্কার হচ্ছে। ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সাক্ষী রেখেই আধুনিক হচ্ছে কলকাতার ঐতিহাসিক গান্ধী আশ্রম।

তবে আধুনিকতার মোড়কে মুড়তে গিয়ে কলকাতার গান্ধী আশ্রমের ইতিহাসকে কখনোই মুছে ফেলা হবে না সংস্কারের ক্ষেত্রে কলকাতায় মান্যতা দেওয়া হয়েছে ঐতিহ্যকে। অর্থাৎ, মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখেই সংস্কার হয়েছে। সংস্কারের পর ঘরের সংখ্যা বাড়ছে। তৈরি হয়েছে গ্যালারি। রয়েছে মহাত্মার লেখা চিঠি, বিছানা, চরকা, ঘড়ি, লাঠি-সহ তাঁর ব্যবহৃত বিভিন্ন সব জিনিস। আধুনিক রূপ পাচ্ছে সেই সংগ্রহশালাটি। থাকবে ই-ভিজিটরস বুক, ডিজিটাল লাইব্রেরি। দেখানো হবে গান্ধীজির জীবন ও গান্ধীভবনের ইতিহাসের স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র। নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে প্রদর্শনী হবে। তবে সেই আধুনিকতার কাজকর্ম এখনও পর্যন্ত শুরু করা যায়নি।

এর আগে ২০১৮ সালের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভবনটিকে আরও আধুনিক মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। বরাদ্দ হয় সাড়ে তিন কোটি টাকা। সেই কাজ এগচ্ছে। আমজনতা বিশেষ করে পড়ুয়াদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এই সংগ্রহশালা। ইতিহাস এবং আধুনিকতার মেলবন্ধনে পুনর্জন্ম হচ্ছে গান্ধীভবনের।

আরও পড়ুন- দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো লাইনে ধস, সাতসকালে নাকাল যাত্রীরা

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে, অর্থাৎ ১২ আগস্ট প্রাকস্বাধীন ভারতবর্ষের হিংসা-হানাহানিতে শোকাহত মহাত্মা গান্ধী একটু শান্তির খোঁজে কলকাতার এই ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখন নাম ছিল হায়দরি মঞ্জিল। গান্ধী পরবর্তী সময়ে সেটাই হয়ে গেল গান্ধীভবন। তৈরি হয় সংগ্রহশালা। আজ, শুক্রবার গান্ধীজির এই ভবনে পদার্পণ করার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

advt 19

 

Previous articleদক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো লাইনে ধস, সাতসকালে নাকাল যাত্রীরা
Next articleকলকাতাতেই ডুরান্ড, শুরু ৫ সেপ্টেম্বর