টিকা নিয়েও ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে প্রাণ হারালেন মুম্বইয়ের ৫ জন, নয়া আতঙ্কে দেশবাসী

টিকার দুটি ডোজ নিয়েও শেষরক্ষা হল না।ডেল্টা প্লাস প্রজাতির উপদ্রবে প্রাণ হারালেন মুম্বইয়ের ৫ জন বাসিন্দা। এদের মধ্যে কেউ কেউ করোনার দুটি ডোজই নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। শুধুমাত্র বাণিজ্যনগরীতেই মোট ৬৬ জন এই প্রজাতিতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে তারা।তাই করোনার তৃতীয় ঢেউ যে আসন্ন তা হারে হারে টের পাওয়া যাচ্ছে।

করোনার টিকার দুটি ডোজ নিয়েও বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।  বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, টিকার দুটি ডোজ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হলেও মৃত্যু তেমন হবে না। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়ায় গোটা দেশে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, গোটা মহারাষ্ট্রে এখনও অবধি ৬৬ জন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বয়স ১৮ বছরের নীচে।

বিএমসি কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৭ জুলাই মুম্বইয়ের ঘাটকোপারের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। ১১ অগস্ট জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট আসার পরই জানা যায় যে তিনি ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই বৃদ্ধা কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ই নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, থানের বাসিন্দা ৫০ বছরের এক মহিলাও গত ২২ জুলাই করোনা আক্রান্ত হন। শুক্রবার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট আসায় জানা যায়, তিনি ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ওই মহিলার মৃদু উপসর্গ রয়েছে।

আরও পড়ুন:”উনি দেশের রাজা নন”, মোদির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যমের

ডেল্টা প্লাস প্রজাতির জেরে মহারাষ্ট্রে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তালিকায় তাদের মধ্যে দু’জন রত্নগিরি জেলার বাসিন্দা, রায়গঢ়, বিড ও মুম্বইয়ের একজন করে বাসিন্দাও রয়েছেন। আক্রান্ত ৬৬ জনের মধ্যে ১৩ জনই জলগাঁওয়ের বাসিন্দা। এছাড়াও রত্নগিরির ১২ জন ও মুম্বইয়ের ১১ জন বাসিন্দা রয়েছেন। থানে ও পুণে থেকে ৬ জন করে বাসিন্দা ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পালঘর জেলা থেকে তিনজন, নন্দেদ ও গোন্দিয়া থেকে ২ জন এবং চন্দ্রপুর, আকোলা, সাঙ্গলি, ঔরঙ্গাবাদ, কোলাপুর ও বিড থেকে ১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য যে নমুনাগুলি পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ৮০ শতাংশ নমুনাতেই ডেল্টা প্লাস প্রজাতির খোঁজ মিলেছে।এই ৬৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ৩৩ জনই ১৯ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক, ১৮ জন ৪৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী এবং ৮ জন ৬০ উর্ধ্ব ব্যক্তি রয়েছেন। ১৮ বছরের কম বয়সী ৭ জনও রয়েছে। মোট আক্রান্তের মধ্যে আবার ৩৪ জনই মহিলা।

প্রসঙ্গত, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ন্টে আক্রান্ত ৬৬ জনের মধ্যে ১০ জনই করোনার দুটি ডোজ নিয়েছেন। ৮ জন টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন।


Previous article“উনি দেশের রাজা নন”, মোদির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যমের
Next articleজ্বরে ভুগছেন টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী নীরজ চোপড়া, করানো হয় করোনা পরীক্ষাও