Sunday, August 24, 2025

করোনা আবহে ১২ লক্ষ সমস্যার সমাধান করে নজির মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের

Date:

২০১৯ সালের জুন মাসে। রাজ্যবাসীর যে কোনও মৌলিক সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের অভাব-অভিযোগ-পরামর্শ জানানোর অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছিল নবান্ন। বাড়ি, রাস্তা, রেশন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুর পরিষেবা ইত্যাদি হাজারো অভাব-অভিযোগ জমা পড়েছিল নবান্নে। তার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ সমস্যার সমাধান নিষ্পত্তি ইতিমধ্যেই করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত এই পরিকল্পনায় মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন করোনা কালে লকডাউন পর্বে।

মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে চালু হয়েছিল ‘‘পাবলিক টু সিএম’’। আর মাত্র বছরের মধ্যেই ১২ লক্ষেরও বেশি বঙ্গবাসীর সরাসরি সমস্যার সমাধান করে এক অনন্য নজির গড়েছে সিএমও। এছাড়াও সামগ্রিকভাবে সুফল পেয়েছেন কয়েক কোটি রাজ্যবাসী। সিএমও দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের কাছে ফোন, মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস যে কোনও মাধ্যমে তা জানানো যেতে পারে। সেই অভিযোগগুলির গুরুত্ব অনুসারে সিএমও-এর বিশেষ পোর্টালে নথিভুক্ত করা হয়। এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতরের শীর্ষস্তর থেকে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরে বদলি হলেন পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস বিবেক ভরদ্বাজ

এই পদ্ধতিতে এখনও পর্যন্ত নিমেষে যে সমস্যা গুলির সমাধান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী

(১) প্রায় ৩৫ হাজার গৃহহীন মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন।

(২) পাহাড় থেকে জঙ্গল, সাগর থেকে শহর, রাজ্যজুড়ে সংস্কার করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৯৯ কিলোমিটার রাস্তা।

(৩) লকডাউন পর্বে আবেদনের ভিত্তিতে ৪০ লক্ষ মানুষকে খাবার জোগান দিয়েছে সিএমও।

(৪) ২০ লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

(৫) আমফন ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ৩ লক্ষের বেশি মানুষ পেয়েছেন আশ্রয়-চিকিৎসা পরিষেবা।

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ট্রোলড হলেন কামরান আকমল

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version