২০০ বছর আগে ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ।ভারত ছাড়ার আগে ব্রিটিশরা ভারতকে দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্রে ভাগ করে দিয়ে যায়। একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারত ও একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ পাকিস্তান। পাকিস্তানে ১৪ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। ভারত স্বাধীনতা দিবস পালন করে ১৫ অগাস্ট।

বিশ্বে ভারত ছাড়াও আরও পাঁচটি দেশে এইদিনেই পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। জেনে নিন এই পাঁচটি দেশের নাম। ১৫ অগাস্ট বাহরিন, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, কঙ্গো এবং লিচেনস্টাইনের জন্যেও বিশেষ দিন। এই দিনই এখানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।

আরও পড়ুন:লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন প্রধানমন্ত্রীর, আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি বায়ুসেনার

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া -মার্কিন ও সোভিয়েত বাহিনী দশকের বেশি সময় ধরে থাকা জাপানি দখল শেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। ১৯৪৫ সালে ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান মার্কিন ও সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করায় জাপানি উপনিবেশের পতন হয় কোরিয়ায়। তারপর তিন বছর পর সোভিয়েত সমর্থিত উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন সমর্থিত দক্ষিণ কোরিয়া জন্ম নেয়।১৯৬০ সাল থেকে ১৫ অগাস্ট এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। মোট ৮০ বছর পরাধীনতার পরে ঠিক এই দিনেই দেশটি ফ্রান্সের কাছ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।


লিচেনস্টাইন- বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ হিসাবে পরিচিত লিচেনস্টাইন ১৮৬৬ সালের ১৫ অগাস্ট জার্মানির শাসন থেকে মুক্তি পায়। আর তাই এদিনটিকে তারা স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করে। এদিন সেদেশের রাজার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান লিচেনস্টাইনবাসী।

বাহরিন- দিলমুন সভ্যতার প্রাচীন ভূমি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরিন। ১৯৭১ সালে এই দিনে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপে ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এই দেশ। ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশ উপনিবেশের পতন ঘটে। এবছর তাদের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। যদিও জাতীয় দিবস হিসাবে ১৬ ডিসেম্বর দিনটি পালিত হয় বাহরিনে। প্রাক্তন সুলতান ইসা বিন সলমন আল খালিফা সিংহাসনে বসেছিলেন ওই দিন। ঐতিহাসিক মতে, এই দ্বীপপুঞ্জ বহুকাল ব্রিটিশ শাসকদের অধীনে ছিল। আরব থেকে পর্তুগিজ, তারপর ১৯ শতকে ব্রিটিশদের পরাধীন হয় বাহরিন।

কঙ্গো-১৫ আগস্ট স্বাধীন হয় মধ্য আফ্রিকার এই দেশ। ১৯৬০ সালে ফরাসি উপনিবেশের পতন হয়। ১৮৮০ সালে ফরাসি শাসন শুরু হয় এই দেশে। সাবেক নাম ছিল ফ্রেঞ্চ কঙ্গো। ১৯০৩ সালে নাম হয় মধ্য কঙ্গো। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ফুলবার্ট ইউলৌ রাষ্ট্রপতি হিসাব শাসন করেন দেশ। তারপর থেকেই ১৫ অগাস্ট দিনটিকে বিশেষ দিন হিসেবে পালিত হয় কঙ্গোতেও।

