রাজবাড়ির রীতি মেনে কোচবিহারে বড়দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়ে গেল

করোনা আবহেও রাজআমলের নিয়ম অটুট কোচবিহার(cochbihar) । প্রাচীন প্রথা মেনেই বড়দেবী দুর্গার (Durgapuja) আরাধনা শুরু হল রাজার শহরে৷ প্রাচীন রীতি মেনে আগামী সোমবার শ্রাবণ মাসের শুক্লাষ্টমীর দিন ময়নাকাঠে পুজো দিয়ে কোচবিহারে বড়দেবীর পুজো শুরু হয়ে গেল । কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ির ডাঙ্গরাই মন্দিরে ময়না কাঠের পুজো শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে । ময়নাকাঠের পুজোতে পায়রা বলির নিয়ম আছে৷ এছাড়াও পরমান্ন ভোগ দেওয়া হয়। পুজো শেষে রাজপরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে অজয়কুমার দেববক্সি এসে ময়নাকাঠকে আহ্বান করবেন। পরে পালকি চাপিয়ে ময়নাকাঠকে এই মন্দির থেকে মদন মোহন মন্দিরে নিয়ে আসা হবে। মদন মোহন মন্দিরে একমাস ধরে ময়নাকাঠের পুজো হবে । পরে ময়নাকাঠকে ফের রাধা অষ্টমী তিথিতে দেবীবাড়িতে বড়দেবীর মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর ময়নাকাঠকে তিনদিন হাওয়া খাওয়ানো হয়। এরপর সেই কাঠের উপরে বড়দেবীর প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হবে। কোচবিহারের মহারাজাদের আমল থেকে এই রীতি চলে আসছে। কোচবিহারের দেবীবাড়ির বড়দেবীরপুজো ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো। প্রতিমার কাঠামো তৈরি হয় ময়নাকাঠ দিয়ে। সেই কাঠের পুজোর মধ্যে দিয়েই বড়দেবীর পুজোর সূচনা শুরু হল আজ। একসময় বড়দেবীর পুজোতে নরবলি হত৷ তবে সেই নিয়ম এখন নেই। তবে দুর্গাপুজোর সময় গুপ্ত পুজোতে নররক্ত লাগে৷ আঙ্গুল থেকে রক্ত দেওয়া হয়। রাজ আমল থেকে একটি পরিবার নররক্ত দেন। বুধবার গৃহ পুজোর পরে শুরু হবে দেবীর প্রতিমা বানানোর কা রাধা অষ্টমীতে ময়নাকাঠের এই দন্ডটি আসবে এই মন্দিরে৷ এই ময়নাকাঠ প্রতিমার মেরুদন্ড।রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন , শুক্লা অষ্টমী তিথিতে ময়নাকাঠের যুগচ্ছেদন পুজো অনুষ্ঠিত হয় প্রথা মেনে। প্রায় একমাস এই শক্তিদন্ডটির পুজো হবে মদনমোহন মন্দিরে। এরপর রাধা অষ্টমী তিথিতে এই দন্ডটি নিয়ে যাওয়া হবে বড়দেবীর মন্দিরে। পুজো শেষে হাওয়া খাওয়ানোর পর শুরু হবে বড়দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ৷ মহারাজাদের অবর্তমানে পুজো পরিচালনার দায়িত্ব সামলায় দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড।

advt 19

 

Previous articleচা-চক্রে সৌজন্য: দিলীপের সঙ্গে মর্নিংওয়াক নিয়ে কথা মমতার
Next articleখেলা হবে দিবস: সুভাষ সরোবরে জমজমাট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ফুটবল উৎসব