”খেলা হবে” দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দফতরের সহায়তায় সোমবার একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিল বাংলা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা IFA. যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যরা। প্রতিপক্ষ ছিল IFA একাদশ। অর্থাৎ বাংলা ফুটবল দল।

করোনা মহামারি আবহে সমস্ত সরকারি কোভিড বিধি মেনেই খেলা হবে দিবসের দিন পালন হলো এই ম্যাচ। স্টেডিয়াম ছিল দর্শকশূন্য। ৫০ মিনিটের এই ম্যাচে প্রথমার্ধ গোলশূণ্য থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শেষ হওয়ার ঠিক ৫ মিনিট আগে ভারতীয় একাদশকে এগিয়ে দেন আশিষ রায়। এবং প্রদর্শনী ম্যাচের শেষ পর্যন্ত এই ফলাফল-ই অব্যাহত থাকে। তবে জয়-পরাজয় বড় ব্যাপার নয়, খেলা হবে দিবসে আসলে জয় হলো সব খেলার সেরা বাঙালির প্রিয় ফুটবলের।

এদিন ম্যাচের সূচনা অনুঠানে উপস্থিতি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ক্রীড়া ও যুবকল্যান দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। এছাড়াও ছিলেন AIFF সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা IFA চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, IFA সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্ট ক্রীড়া প্রশাসক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা।

দীর্ঘদিন পরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো। এই ম্যাচ ঘিরে বাংলার ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। করোনা আবহে যুবভারতীর মায়াবী আলোয় এই ম্যাচ একটা আলাদা মাত্রা যোগ করল।

এর আগে এদিন ১৬ জন অমর ফুটবল শহিদের স্মৃতি তর্পণ-এ প্রতি বছরের মতো এ বছরও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এবার রক্তদাতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলকিপার সুব্রত পালের স্বাক্ষর করা সার্টিফিকেট। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই রক্তদান শিবির। কলকাতা ছাড়াও জেলায় জেলায় IFA-এর অধীনে থাকা প্রতিটি সংস্থা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে।

এছাড়াও এদিন কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের পুরসভার পক্ষ থেকে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ক্লাব এই খেলাতে অংশগ্রহণ করে। যেখানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর, বোরো চেয়ারম্যানরা ছিলেন। কলকাতা পুরসভার পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম নিজেও বল পায়ে মাঠে নেমেছিলেন। প্রশাসক মন্ডলীর খেলার দায়িত্ব থাকা সদস্য তথা রাসবিহারির বিধায়ক দেবাশিস কুমার খেলতে নেমেছিলেন দেশপ্রিয় পার্কে। এছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উদ্যোগে তাঁর বিধানসভা এলাকা বেহালা পশ্চিমে শান্তি সংঘ ক্লাব প্রাঙ্গণে “খেলা হবে” দিবস অনুষ্ঠিত হলো।
