রাজ্যের দু’শোরও বেশি মানুষ আটকে পড়েছেন আফগানিস্তানে। গতকালই একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকাতেই রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগরের বাসিন্দা সুজয় দেবনাথ এবং জলপাইগুড়ির আইসা খান ও ইলি ছেত্রী। তাই চরম উদ্বেগে রয়েছেন তাঁদের পরিবার পরিজনরা। সুজয়ের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে বুধবার তাঁদের বাড়ি যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

পরিবার সূত্রের খবর, গত আড়াই বছর ধরে আফগানিস্তানেই ছিলেন সুজয়। কিন্তু তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পর ছন্দপতন ঘটে।সোমবার সকালে সুজয় পরিবারকে জানিয়েছিলেন, কাবুল বিমানবন্দরে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও প্লেনের চাকা আঁকড়ে পালানোর চেষ্টা করছে মানুষ। তার পর তাঁর আর খবর মেলেনি। ফলে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যেরা।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে শুরু তালিবান সরকার গঠনের কাজ, সুপ্রিম লিডারের পদে বসবেন হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা

অন্যদিকে জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের ওদলাবাড়ির বিধানপল্লি এলাকার বাসিন্দা আমানুল্লা খান জানান, ‘আমার দিদি, জামাইবাবু এবং দুই ভাগ্নে বর্তমানে আফগানিস্তানে রয়েছে। আমানুল জানান, সেখানে তার দিদি চিকিৎসা করেন ও জামাইবাবু হাসপাতালের কমপাউন্ডার। দিন পাঁচেক আগে ভিডিও কলের মাধ্যমে আমানুলের সঙ্গে কথা হয় তাঁর দিদির। বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না তাঁরা। দোকানপাট বন্ধ। বাড়িতে খাবার নেই। পরিজনদের যাতে দেশে ফেরানো যায় সে বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে আমানুলের পরিবার।


জলপাইগুড়ির আরেক বাসিন্দা ইলি ছেত্রী খান জানান তাঁর দিদি বর্তমানে আফগানিস্তানে আটকে পড়েছে। বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কিমি দূরত্বে থাকেন তাঁর দিদি। কিন্তু তালিবানরা রাস্তার বিভিন্ন চেকপোস্টে নাকা চেকিং চালাচ্ছে তালিবানরা। ঘর থেকে বের হতেই পারছেন না পরিজনেরা। ঘরে খাবার নেই।কীভাবে দিদি ও তাঁর পরিবার আবার বাড়ি ফিরবে তার কোনও কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।


