গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের কোন প্রশ্নই নেই। মুসলিম শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠিত হবে তালিবান(Taliban) সরকারের আফগানিস্তানে(Afghanistan)। সমস্ত ধন্দ দূর করে বিশ্বকে এমনটাই জানাল তালিবান নেতা ওয়াহেদুল্লাহ হাশিমি (Waheedullah Hashimi)। তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কাউন্সিলের দ্বারা পরিচালিত হবে আফগান সরকার। অনুমান করা হচ্ছে এই কাউন্সিলের মাথায় থাকবে তালিবানের প্রধান নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (Haibatullah Akhundzada)।

সম্প্রতি এক বার্তায় হাশিমির তরফে জানানো হয়েছে, “শরিয়ত আইন মেনে আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি ইসলামিক সরকার। শরিয়ত আইনে গণতন্ত্রের কোনও জায়গা নেই।” সে ক্ষেত্রে হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কাউন্সিলের প্রধান হলে তার সহকারী কাউকে প্রেসিডেন্ট করা হবে। ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে তালিবানের সরকার গঠনের কাজ। জানা যাচ্ছে বর্তমানে তালিবানের সুপ্রিম লিডারের তিনজন সহকারি রয়েছে। তারা হল, মৌলবি ইয়াকুব, সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এবং আব্দুল ঘানি বরাদর।

আরও পড়ুন:ফের ত্রিপুরায় হেনস্থার শিকার ঋতব্রত, তালিবানি কায়দায় অত্যাচার চালানো হচ্ছে দাবি তৃণমূল নেতার

অন্যদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী ও সেনা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবে তালিবানরা নেতারা। তাদের কাছে আবেদন জানানো হবে তারা যাতে নতুন সরকারের অধীনে থেকে কাজ করে। যদিও তা আবেদন নাকি হুমকি তা নিয়েও অবশ্য সংশয় রয়েছে। কারণ বিগত ২০ বছরে হাজারে হাজারে আফগান সেনাকে হত্যা করেছে এই তালিবান জঙ্গিরা।

