ইতিমধ্যে শুধু এ রাজ্যে নয়, দেশজুড়েই সাড়া ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে মাসে রাজ্যের মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ফের আরও একবার দেশজুড়ে সাড়া ফেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিরোধী জোটের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন, কর কাঠামোর বাইরে থাকা পরিবারগুলির হাতে মাসিক ৭,৫০০ টাকা তুলে দেওয়ার দাবি তোলা হোক। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াক বিরোধীশক্তি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে দু’হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছেন দেশের মানুষ।

করোনা অতিমারিতে লাটে উঠেছে সাধারণ মানুষের উপার্জন। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দেশের সরকারকে কার্যকর কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি সামনে এনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সাধারণ মানুষের দুঃখদুর্দশা নিয়ে তিনি চিন্তিত৷ তাদের পাশে দাঁড়াতে তিনি বদ্ধপরিকর।

আরও পড়ুন- পুরবাজেটে বড় ঘোষণা ফিরহাদের: শহরে মিউটেশন ফি মকুব, তৈরি হবে নতুন জলপ্রকল্প

এই মুহুর্তে শুধু এ রাজ্যে নয়, দেশজুড়েই সাড়া ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’৷ ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে আবেদনের জমা পড়ার সংখ্যা সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ৩-৪ দিনেই। ঠিক সেই ধাঁচেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব, দেশের কর কাঠামোর বাইরে থাকা পরিবারগুলির হাতে মাসিক ৭,৫০০ টাকা তুলে দেওয়া হোক। বর্তমান করোনা আবহে দেশের সব নাগরিক, যাঁরা আয়কর দেন না, তাঁদের পরিবার পিছু মাসে টাকা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। শুক্রবার ১৯ দলের বিরোধী জোটের বৈঠকে দেশজুড়ে এই দাবি তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- এবার টিকাকরণ নিয়ে কলকাতা পুরসভার নামে প্রকাশিত ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি, তদন্তের নির্দেশ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি রাজ্যে এসে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের হাতে নগদ তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি যুক্তি দেন, এর ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। ঘুরবে অর্থনীতির চাকাও। ঠিক এই লক্ষ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প’ রাজ্যে চালু করেছেন। এই ভাবনাই এবার জাতীয়স্তরে পৌঁছে দিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব, মাসে মাসে পরিবার পিছু ৭৫০০ টাকার প্রতিশ্রুতি দিক বিরোধী জোট। কেন্দ্রীয় সরকারের উপরও এই ইস্যুতে চাপ বাড়ানো হোক। জানা গিয়েছে, দেশের সব দরিদ্র পরিবারের জন্য আয় সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অপব্যবহার করছে বলেও সওয়াল করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
