এবার রাতের কলকাতায় সিসিটিভির মাধ্যমে পুলিশের ওপর লক্ষ্য রাখবে লালবাজার!

সিসিটিভির মাধ্যমে রাতে কলকাতার রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার, সার্জেন্ট, কনস্টেবলদের লক্ষ্য রাখা হবে লালবাজার থেকে। কিন্তু কেন?

আরও পড়ুন-কেন আটকে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পের কাজ?

পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের কলকাতার স্পর্শকাতর এলাকাগুলিই বিশেষভাবে এই নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। সাধারণত বেশ কিছু অপরাধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যায় রাতের অন্ধকারেই। অনেক সময়ই সেই অপরাধ দমন করতে গিয়ে বা অপরাধী ধরতে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন কর্তব্যরত অফিসার ও কর্মীরা। বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাঁদের নিরাপত্তাও। পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোরালো হয়ে উঠলে অনেক সময় থানা বা কন্ট্রোলরুমে খবর পাঠিয়ে সাহায্য চাওয়ার সুযোগও পাওয়া যায় না। কিন্তু লালবাজার কন্ট্রোলরুম থেকে নজর রাখলে পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হয়। পদস্থ পুলিশ অফিসারদের কাছে সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া যায় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ। ব্যবস্থাও নেওয়া যায় তাড়াতাড়ি। জরুরি হলে পাঠানো যেতে পারে অতিরিক্ত ফোর্সও। দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুল্যান্স। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কর্তব্যরত পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও গাফিলতি বা অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তারও সত্যতা যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে সিসিটিভির ফুটেজ দেখেই। দুস্কৃতী দমনে বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে বা কোনও দুর্ঘটনায় কর্তব্যরত অফিসার, সার্জেন্ট বা অন্যান্য পুলিশকর্মীরা কোন সময় ঠিক কতটা সক্রিয় তারও একটা প্রামাণ্য দলিল থেকে যাবে সিসিটিভি ফুটেজে। যা চাকরিজীবনে অ্যাপ্রাইসালের ক্ষেত্রেও কিছুটা কাজে আসবে। অন্যান্য বিতর্ক এড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবে।

আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকারে ব্যাপক সাড়া, ৯ দিনে ১ কোটি রেজিস্ট্রেশন

কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, সাধারণত দিনের বেলাতেও সিসিটিভির ক্যামেরার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ডিউটি দেওয়াটাই রীতি। তবে সবসময় তা সম্ভব নাও হতে পারে। এবারে রাতের কলকাতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাড়ানো হচ্ছে ক্যামেরার নজরদারি। দায়িত্বে থাকবেন যুগ্ম কমিশনার (হেডকোয়াটার্স) এবং যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক)।

advt 19