‘বাইরে থেকে নেতা এনে ত্রিপুরায় লাভ হবে না’, তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতাকে কটাক্ষ দিলীপের

‘দিল্লি থেকে নেতা এনে বাংলায় ভোটে জেতা যায় না’। বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সুরেই বিজেপিকে কটাক্ষ করতো তৃণমূল(TMC)। এবার বিজেপির(BJP) গলাতেও শোনা গেল একই সুর। সম্প্রতি ত্রিপুরাকে নজরে দেখে তৃণমূলের তৎপরতা প্রসঙ্গে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) জানালেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের তৎপরতা যেভাবে বাড়ছে তা ভালো। কিন্তু যাদের সামনে রেখে ত্রিপুরা জয়ের স্বপ্ন দেখছে তারা তো বাংলার মানুষ। এতে করে কি ভোটে জেতা যায়?

বঙ্গে বিজেপিকে পর্যদস্ত করার পর তৃণমূলের টার্গেট এখন ২৩-এর ত্রিপুরা। তবে শুধু ত্রিপুরা নয় উত্তর-পূর্বের বাকি সাত রাজ্যেও নিজেদের ভিতর ভূত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের লক্ষ্য এই রাজ্যগুলির বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে নিজেদের দিকে টানা। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু সরকার রায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, “বিজেপি শাসিত রাজ্যে আমাদের ফুটবল খেলতে দিল না, কিন্তু আসল খেলা হলে দিশেহারা হয়ে যায়। উত্তর পূর্বে চমক দেখতে পাবেন।” জানা যাচ্ছে ত্রিপুরা ও অসমে সংগঠনের বাড়াতে তৃণমূলের তরফে গুরু দায়িত্ব পেতে পারেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা সুস্মিতা দেব। অসমের বাসিন্দা সুস্মিতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বেশ দীর্ঘ। আর সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

আরও পড়ুন:নেতা বলছেন ‘ভিখারি’! কোন্নগরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন জমা বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর 

যদিও, তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজিতে কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, ‘উনি অন্য দলের নেত্রী ছিলেন, পার্টি মনে করলে করবে। ত্রিপুরায় এখানকার নেতারাই যাচ্ছে। বাইরে থেকে নেতা নিয়ে গিয়ে ত্রিপুরায় রাজনীতি হবে না। তবে ঠিক আছে, শক্তিশালী বিরোধী হলে আমাদের সরকারও ভাল কাজ করবে।’ যদিও তৃণমূল অবশ্য কোমড় বেঁধে নেমেছেন ত্রিপুরা দখলের লড়াইয়ে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে অসমের কোন সুরক্ষা পার্টির নেতারা। দলের প্রধান নবকুমার শরনিয়া, অসমের ২৫ লক্ষ বাঙালিকে একজোট করে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার ডাক দিয়েছেন। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অসমের রাইজর দলের বিধায়ক অখিল গগৈও। সবমিলিয়ে উত্তর-পূর্বে নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে কোন খামতি রাখছেনা ঘাসফুল শিবির।

advt 19