জঙ্গলরাজ চলছে, সব তুলে রাখছি আমরা: বাঁধারঘাট পৌঁছে BJP-কে হুঁশিয়ারি কুণালের

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের(TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ফের একবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। শনিবার দুপুরে ত্রিপুরার বাঁধারঘাটে মুজিবুর রহমানের(Mujeebur Rahman) বাড়িতে যোগদান কর্মসূচি চলাকালীন হামলা চালায় বিজেপির সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। এই হামলার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজেপিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, তৃণমূলের ডায়েরিতে সব তোলা থাকছে। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং যেসকল পুলিশ আধিকারিকের মদতে এগুলি ঘটছে তারা সাবধান হয়ে যান।

ন্যাক্কারজনক হামলার পর এদিন দুপুরে মুজিবুর রহমানের বাড়িতে পৌঁছে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও সাংসদ শান্তনু সেন। সেখানেই কুণাল ঘোষ বলেন, “আচমকা বিজেপির গুন্ডারা ঢুকে সব ভাঙচুর করেছে, ব্যাপক মারধর করেছে আমাদের কর্মীদের। দুজন গুরুতর আহত। মুজিবুর সাহেবের হাত ভেঙেছে, শুভঙ্করের মাথা ফেটেছে সে জ্ঞান হারাচ্ছে, বমি করছে, রীতিমতো খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এই পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে এখানে মহিলা পুলিশের ব্যবস্থা করা হোক। আমরা বেরিয়ে যাওয়ার পর যদি ফের বিজেপির গুন্ডারা এসে হামলা চালায় তার দায় কে নেবে?”

এরপরই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “বিজেপি যদি ভেবে থাকে এইভাবে হামলা করে তৃণমূলকে ঠেকাতে পারবে তবে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। হামলা-মামলা দিয়ে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না। তৃণমূলের ডায়রিতে কিন্তু প্রত্যেকটা ঘটনার কথা লেখা থাকছে। যারা এই ধরনের হামলা করছেন এবং যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকের মদতে এগুলি ঘটছে তারা সাবধান হয়ে যান। গতকাল তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে, আজকের দিনে দুপুরে জাতীয় সড়কের উপর এই ধরনের হামলা হলো। দুপুরে তৃণমূলের মিছিল থেকে ওরা ভয় পেয়ে গেছে তাই এই ধরনের হামলা চালানো হলো। একজন প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর আক্রমণ চালানো হলো। এদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে তারপর আমরা হাসপাতাল ও থানায় যাব।”

আরও পড়ুন:ত্রিপুরায় সন্ত্রাস: বাঁধারঘাটে তৃণমূলের ওপর হামলা বিজেপির, ঘটনাস্থলে শান্তনু-কুণাল

উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় তৃণমূলের তরফে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হওয়ার পর থেকে তৃণমূল নেতাদের ওপর চলেছে একের পর এক হামলা ঘটে চলেছে। তৃণমূলের যুব নেতৃত্বের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। বাদ যাননি খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও এখনো পর্যন্ত কোন ঘটনাতেই কাউকে গ্রেপ্তার করেনি ত্রিপুরা পুলিশ। গতকালও সোলাঙ্কি সহ তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর হামলা চালানো হয়। এবার বাঁধারঘাটে তৃণমূলের কর্মসূচির ওপর হামলা চালাল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

advt 19

 

Previous articleরাজ্যপাল ‘’ব্ল্যাকমেল’’ করেন, TMCP প্রতিষ্ঠা দিবসে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Next articleযুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক চান মমতা