Thursday, November 13, 2025

ত্রিপুরার মসনদে এবার তৃণমূল, মহারাজা প্রদ্যোতের সোশ্যাল সমীক্ষায় স্পষ্ট ইঙ্গিত

Date:

বঙ্গ জয়ের পর এবার ত্রিপুরাকে(Tripura) পাখির চোখ করে নির্বাচনী অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছে তৃণমূল(TMC)। বিজেপির একের পর এক হামলা ও মামলার মাঝেই জোরকদমে চলছে তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচি। এই মাঝে এক চমকপ্রদ সমীক্ষা-রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনলেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য(Pradyot Kishor Manikya)। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো জনমত সমীক্ষা করে সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনে তিনি জানিয়ে দিলেন ২০২৩ সালে ত্রিপুরাতে সরকার করতে চলেছে তৃণমূল। চমকপ্রদ এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরায় রাজনৈতিক লড়াইয়ে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির।

২০২৩-র বিধানসভা ভোটে কাকে মানুষ পছন্দ করছেন, তারই আভাস নিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত সমীক্ষা করেন প্রদ্যোত কিশোর। প্রদ্যোত মাণিক্যের টুইটারে অ্যাকাউন্ট থেকে করা এই সমীক্ষায় বিজেপি এখনও পর্যন্ত পেয়েছে ৩৭.২ শতাংশ ভোট, সিপিআইএম পেয়েছে ৭.৭ শতাংশ। অন্যদিকে ত্রিপুরায় সদ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করা তৃণমূল পেয়েছে এখনও পর্যন্ত ৫৫.১ শতাংশ ভোট। সেই সমীক্ষার চিত্র তুলে ধরে ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান প্রদ্যোত কিশোর লিখেছেন, ‘হ্যালো আইটি সেল, যারা ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার নির্বাচন জিতে নিয়েছিল, তারা কী বলবে টানটান প্রতিযোগিতা হবে ত্রিপুরায়? ত্রিপাকে এর বাইরে রাখা হয়েছে, কারণ আমাদের কোনও আইটি সেল নেই।’ যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে মূলত বিজেপিকে আক্রমণ শানাতেই এই সমীক্ষা করেন প্রদ্যোৎ কিশোর। পাশাপাশি তৃণমূল যে নিজেদের জমি শক্ত করছে ত্রিপুরাতে সেটা স্পষ্ট করে দেন তিনি।

তবে এই সমীক্ষাকে বিজেপি উড়িয়ে দিলেও খোদ প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য যেখানে সমীক্ষা করছেন তা একেবারে ফেলনা নয়। তার কারণ ত্রিপুরার অন্দরে গ্রেটার তিপ্র‍্যাল্যান্ডের দাবি দীর্ঘদিনের। এই ইস্যুকে উস্কে ২০১৮ সালে বিজেপি ও তার জোটসঙ্গী IPFT ক্ষমতায় এলেও গত সাড়ে তিন বছরে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হিসেব বলছে, ত্রিপুরায় জনজাতি ভোট ৩১% আর ৬৯% বাঙালি ভোট। এই জনজাতি ভোট ত্রিপুরার ২০ বিধানসভা আসনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। যার ওপর সরকার গঠনও নির্ভর করে। একটা সময় এই ভোট বামেদের দিকে থাকলেও তা ২০১৮ সালে তিপ্র‍্যাল্যান্ডের আশায় IPFTর দিকে চলে যায়। এই ভোটকে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছেন প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। ইতিমধ্যেই প্রদ্যোতের সঙ্গে বৈঠকও করেছে তৃণমূল। সবমিলিয়ে ত্রিপুরার খেলা যে বেশ জমে উঠেছে তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই।

 

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...
Exit mobile version