দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে বাদ মহাশ্বেতা দেবীর গল্প, রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন অধ্যাপকরা

মহাশ্বেতা দেবীর যে কোনও ছোট গল্প দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকি কমিটির এই ‘রাজনৈতিক’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের অন্তত ১৫ জন সদস্য। পাশাপাশি তদারকি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে শুরু হয়েছে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান।

আরও পড়ুন- ৫৭ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে নয়া শিখর ছুঁল সেনসেক্স, ১৭ হাজার পেরলো নিফটি

পিটিআই -এর মতে, এর আগে, কোর্সগুলির উপর নজরদারি কমিটি সিলেবাসে কিছু পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া নিয়ে সভায় বিরোধীতা হয়। এসি সদস্য মিঠুরাজ ধুসিয়া বলেন, “আমরা তদারকি কমিটির অতিমাত্রার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই যা ফ্যাকাল্টি, কোর্স কমিটি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির মতো বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলিকে কার্যত উপেক্ষা করে পঞ্চম সেমিস্টারের নতুন স্নাতক শিক্ষার ফলাফল ভিত্তিক কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (এলওসিএফ) পাঠক্রমে ইচ্ছাকৃতভাবে পাঠ্য পরিবর্তন করেছে।’’

উল্লেখ্য, একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫ জন সদস্য তদারকি কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভিন্নমত জানিয়ে পাঠানো একটি নোটে বলেছেন, “তদারকি কমিটি সর্বদা দলিত, আদিবাসী, নারী এবং যৌন সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মনোভাব দেখিয়েছে, যা পাঠ্যক্রম থেকে এই ধরনের সব কন্ঠস্বরকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পিত প্রচেষ্টায় স্পষ্ট।”

সম্প্রতি মহাশ্বেতা দেবী, দলিত তামিল লেখিকা বামা ফেস্টিনা সুসাইরাজ এবংসুকীর্থরানির লেখা পাঠ্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় তদারকি কমিটি।কমিটি হঠাৎ করে ইংরেজি বিভাগকে মহাশ্বেতা দেবীর বিখ্যাত ছোটগল্প, দ্রৌপদী – এক আদিবাসী মহিলার গল্প – কোন শৈক্ষিক যুক্তি না দিয়ে মুছে ফেলতে বলেছে।শুধু তাই নয় ,কমিটি মহাশ্বেতা দেবীর অন্য ছোটগল্পও পাঠ্যক্রমে রাখতে অস্বীকার করেছে।

একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা বলেছিল যে, একটি ডিসিপ্লিন নির্দিষ্ট ইলেকটিভ পেপার , ‘ইন্টারগোটিং কুইরনেস’ শিরোনামে, তদারকি কমিটি ওই পেপার থেকে নির্বিচারে অনেকটা অংশ মুছে ফেলেছে। প্রাক-ঔপনিবেশিক ভারতীয় সাহিত্য শিরোনামের আরেকটি ডিসিপ্লিন নির্দিষ্ট ইলেকটিভ পেপারে, তদারকি কমিটি ইংরেজী বিভাগকে চন্দ্রাবতী রামায়ণ-এর পরিবর্তে তুলসীদাস রামায়ণ পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের ফলে মহাকাব্য রামায়ণের একটি “নারীবাদী পাঠ” পাঠ্যক্রম থেকে অপসারিত হবে।

এসি সদস্য মিঠুরাজ ধুসিয়া বলেন, “আমরা তদারকি কমিটির অতিমাত্রার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই যা ফ্যাকাল্টি, কোর্স কমিটি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির মতো বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলিকে কার্যত উপেক্ষা করে পঞ্চম সেমিস্টারের নতুন স্নাতক শিক্ষার ফলাফল ভিত্তিক কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (এলওসিএফ) পাঠক্রমে ইচ্ছাকৃতভাবে পাঠ্য পরিবর্তন করেছে।’’
তিনি বলেন, দুই দলিত লেখক বামা এবং সুকীর্থরিনীকে নির্বিচারে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা অবাক করার মতো বিষয় যে এই তদারকি কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো বিশেষজ্ঞ ছিলেন না যাদের সিলেবাস পরিবর্তন করা হয়েছিল। এই ধরনের অপসারণের পিছনে কোন যুক্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

advt 19

 

Previous article৫৭ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে নয়া শিখর ছুঁল সেনসেক্স, ১৭ হাজার পেরলো নিফটি
Next articleভ্যাকসিন ইস্যুতে আরও কড়া হয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ নবান্নের, কুপন ছাড়া টিকা নয়