গোষ্ঠী কোন্দলে রীতিমতো জর্জরিত ত্রিপুরা বিজেপিতে(Tripura BJP)। এই পরিস্থিতির মাঝেই মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা রদবদল হয় ত্রিপুরাতে। যেখানে বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভায় তিনজন নতুন মুখকে নিয়ে আসা হলেও কার্যত বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হল ত্রিপুরার অভিজ্ঞ বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মন(Sudip Roy Barman) ও তাঁর অনুগামীদের। এই পরিস্থিতিতে সুদীপের তৃণমূল(TMC) যোগের সম্ভাবনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

এ দিন বিকেলেই ত্রিপুরার নতুন তিন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুশান্ত চৌধুরী, ভগবান দাস এবং রামপ্রসাদ পাল। ঘটনায় কার্যত স্পষ্ট ত্রিপুরার জনপ্রিয় নেতা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাউকেই মন্ত্রিসভায় জায়গা দেয়নি বিজেপি। এদিকে সূত্রের খবর এদিন বৈঠক চলাকালীন মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান সুদীপ। দলের সিদ্ধান্তে তিনি রীতিমতো ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় রাজনৈতিক মহলের অনুমান হয়তো এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন অভিজ্ঞ এবং ত্রিপুরা রাজনীতিকে কার্যত গুলে খাওয়া এই নেতা। আর তা ঘটলে ত্রিপুরাতে তৃণমূল যে ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবার, ৩ মহিলা বিচারপতি সহ শপথ নিলেন ৯ জন
এদিকে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, সুদীপ বিজেপির বিচ্ছেদে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে চলেছে তৃণমূল। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগেই ত্রিপুরাতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মুখ পেয়ে যাবে ঘাসফুল। পাশাপাশি ত্রিপুরায় বিজেপি সংগঠন ও জনসমর্থনেও থাবা বসানোর সহজ হয়ে যাবে। সম্প্রতি নিজের অনুগামী প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে কর্মীসভা করেছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বিধায়কও। ফলে সুদীপ বিজেপিকে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। অতীতে বহুবার বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা গিয়েছে বরিষ্ঠ এই নেতাকে। এমন অবস্থায় মন্ত্রিসভায় তাকে জায়গা না দেওয়ায় এবার তিনি বিজেপির সঙ্গে সুদীপের পুরোপুরি বিচ্ছেদেরই ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
