অসমে ফের বন্যা। অসমের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২১টি জেলা জলের তলায়। টানা বৃষ্টির ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার নিট ফল, প্রায় ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির জেরে বহু মানুষ জলে আটকে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে দ্রুত উদ্ধার কাজের নির্দেশ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত, এই বন্যার ফলে ২ জন শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে যে, মরিগাঁও এবং বারপেটা জেলার ওই ২ শিশু বন্যার জলে ভেসে গেছে।
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, অসমের লক্ষ্মীপুর জেলা সব চেয়ে বেশি বন্যা বিপর্যস্ত। সেখানে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়াও মাজুলিতে ৬৫ হাজার, দারাংয়ে ৪১ হাজার ৪০০, বিশ্বনাথ জেলায় ২৪ হাজার ৩০০ জন, ধেমাজিতে ২১ হাজার ৩০০ এবং শিবসাগর জেলায় ১৭ হাজার ৮০০ জন মানুষ এই বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন। ক্রমাগত বৃষ্টি এবং দিনের পর দিন চাষের জমি জলমগ্ন থাকার জন্য প্রায় ৩০ হাজার ৩৩৩ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় ৯৫০টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অসমের এই বন্যা পরিস্থিতি দেখে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি টুইট করে জানান, অসমের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে।

আরও পড়ুন- সামাজিক প্রকল্পের পরে এবার লক্ষ্য শিল্প স্থাপন: পানাগড়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য প্রশাসনের তরফে ৪৪ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে। এখনও উদ্ধার কাজ জারি আছে। অনেক মানুষকে প্রায় জোর করেই নিজেদের বাড়ি থেকে বের করে এনে ত্রাণ শিবির কিংবা কোনও নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
