CPIM বাম শরিকদের অবজ্ঞা করার জন্যই নির্বাচনী বিপর্যয়, দাবি ফরওয়ার্ড ব্লকের

রাজ্যে বামেদের ভরাডুবির জন্য ফের সরাসরি সিপিআইএম-কে দায়ী করল ফরওয়ার্ড ব্লক। তারা মনে করে, একটা সময় যে গরিব খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল বামেরা, দীর্ঘ ৩৪ বছর বাংলার বুকে রাজত্ব করেছিল, সেই বামেরাই, মূলত সিপিআইএম গরিব মানুষের জন্য যথাযথ আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসাতেই ভোটের ফলাফলে এই ব্যাপক বিপর্যয়।অন্তত ফরওয়ার্ড ব্লকের দলীয় নির্বাচনী ফল
পর্যালোচনায় এমন বিশ্লেষণই উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন:সরছেন সূর্য, CPIM রাজ্য সম্পাদক পদের দৌড়ে এই চার নেতা

দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শ্রেণিগত অবস্থান থেকে ক্রমশ সরে গিয়েছে বামেরা। তার ফলেই এই ভয়ানক বিপর্যয় হয়েছে। আর সেই জায়গায় মাথাচাড়া দিয়েছে মেরুকরণের রাজনীতি।’’ একইসঙ্গে বামেদের সাংগঠনিক বেহাল দশার কথাও মেনে নিয়েছেন নরেনবাবুরা।

ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বাংলায় নির্বাচনের ফল নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা হয়েছিল সেখান থেকে রাজ্যের প্রায় ১০০টি বিধানসভা আসনের ফলকে নমুনা হিসেবে ধরে সমীক্ষা করিয়েছে নেতৃত্ব। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই বুথ স্তরে বামেদের কমিটি বা কাজ করার মতো লোক ছিল না। সব মিলিয়ে হয়তো ৬৫ শতাংশ এজেন্ট দেওয়া গিয়েছিল। আসলে বাম শরিক দলগুলিকে উপেক্ষা করে কংগ্রেস এবং আইএসএফ উপরে সিপিএমের বেশি নির্ভরতাও বিপদ ডেকে এনেছে বলে ফের উল্লেখ করেছেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। বাম দলগুলিকে উপেক্ষা করে কংগ্রেস এবং আই এস এফ এর ওপর বেশি নির্ভর করেছিল বলেই সাধারন মানুষ ও বাম সমর্থকরা তা মেনে নেয়নি। বাম দলগুলিকে অবজ্ঞা করার কারণেই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর আগেও একই কথা বলে ফরওয়ার্ড ব্লক জানিয়েছিল, আগামীদিনে ফ্রন্টের মধ্যে থাকলেও কোনও মোর্চায় তারা নেই।

advt 19

Previous articleপ্রবীণ কুমারকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রীর
Next articleকড়া নাড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, সংক্রমণ কমলেও হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা