শুরুতে তালিবানদের(taliban) দাবি ছিল কাশ্মীর ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সেই দাবী থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এবার অন্য বিবৃতি দিল তালিবান। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত হয়ে আফগানিস্তান(Afghanistan) দখলের পর এবার তালিবান কাশ্মীরে মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। কাশ্মীরের(Kashmir) মুসলমানদের সঙ্গে তাদের সপক্ষে কথা বলা তালিবানের অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে দাবি করা হয়েছে। তালিবানের বিবৃতিতে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার।

দোহায় তালিবানি দফরের বসে বিবিসি উর্দু চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন (Sohail Shaheen) স্পষ্ট জানায়, “আমরা মুসলিম। তাই সেই অধিকারে আমরা কাশ্মীরি মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। কাশ্মীরের অধিকার নিয়েও বলতে পারি। শুধু ভারত কেন, বিশ্বে যত মুসলিম রয়েছে, সকলের সঙ্গেই কথা বলতে পারি। আমরা বোঝাব যে বিশ্বের সব মুসলিমদের পাশেই আছি আমরা। সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম।” এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বড় ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছে ভারত সরকার। কারণ সম্প্রতি গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে তালিবানের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনার জন্য আফগানিস্তানে গিয়েছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। শুরু থেকেই ভারতের সন্দেহ আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করবে তালিবান। ষড়যন্ত্র চালাতে তালিবানের সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক ভারতের কাছে শুরু থেকেই উদ্বেগের। এবার কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবানের এহেন মন্তব্য স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন:‘বিশ্বাসঘাতক’ বিজেপিকে ত্রিপুরা থেকে হটানোর সময় এসেছে: সুস্মিতা

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাতারে তালিবানের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। সেখানে তিনি আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য পাকিস্তানের হাত ধরে কাশ্মীরের মাটি ব্যবহার করতে পারে তালিবান। শুরুতে তালিবান কাশ্মীর ইস্যুতে মাথা ঘামাতে রাজি না হলেও প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমীকরণের কথা মাথায় রেখে সরকার গড়ার প্রাক্কালে কাশ্মীর ইস্যুকেও হাতিয়ার করতে চলেছে তারা।

