গুজরাটে গিয়ে খুন মালদহের পরিযায়ী শ্রমিক, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে 

গুজরাটে কাজ করতে গিয়ে খুন হতে হলো বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক কে। খুব শীঘ্রই গুজরাটে থেকে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের কনকনিয়া এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকের। সেখানেই খুন হতে হল ওই শ্রমিককে। রবিবার বাড়ি ফিরল তার কফিনবন্দি দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকের নাম ফুদন মণ্ডল(৫২)। রবিবার গুজরাট থেকে ওই শ্রমিকের দেহ এলাকায় পৌঁছতেই পরিবারের পাশাপাশি এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। গুজরাটে টাওয়ার তৈরির কাজ করতেন ফুদন। করোনাকালে তো বটেই আগেও ভিন্ রাজ্যে একাধিক শ্রমিকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। খুনও হতে হয়েছে কয়েকজনকে। আবারও এক শ্রমিক খুন হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও বিজেপি শাসিত গুজরাতে এ রাজ্যের শ্রমিক খুন হওয়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেন। শুরু হয়েছে তৃণমূল- বিজেপির চাপানউতোর।

 

মৃতের পরিবার ও স্থানীয় সাদলিচক পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ বছর ধরে ভিন রাজ্যে কাজ করেই সংসার চালাতেন ফুদন। কনকনিয়া এলাকায় বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা মাটির বাড়ির উপরে টালির ছাদ। তার দুই ছেলে জ্যোতিশ ও দীপেন্দ্রও পরিযায়ী শ্রমিক। তারা উত্তরপ্রদেশে থাকেন। বাবার মৃত্যুর কথা জানতে পেরেই বাড়ি ফিরেছেন। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী আশা মণ্ডল। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, গুজরাতের জামনগরে থাকতেন ফুদন। গত শুক্রবার টাওয়ারের কাজ করছিলেন ফুদন। সেখানেই মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে একজন। পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই তাকে খুন করা হয় বলে সন্দেহ। আহত অবস্থায় ফুদনকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই পরে মারা যায় তিনি। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও বাড়ির লোকজন জানতে পেরেছেন।

মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী আশা দেবী মন্ডল বলেন, ” সঠিকভাবে আমরা জানি না ঘটনাটা কি হয়েছিল। তবে সেখানে কয়েক জনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। রড দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে।

advt 19

Previous article‘বিজেপি-র ঘুণ ধরা সংগঠন, মেলাতে পারছি না’, তোপ দাগলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই
Next articleখোঁচা দিতে গিয়ে ব্রাত্য বসুর তোপের মুখে রাজ্যপাল