পরপর ‘না’, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী খুঁজতে গিয়ে বিপাকে বিজেপি

bjp

ভবানীপুরে উপনির্বাচন, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট। প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক কাজ সারতে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তনরা। মূল আলোচনা ঘুরপাক খাচ্ছে ভবানীপুরকে কেন্দ্র করে।

আপাতত পরিষ্কার, এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চলেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সুপার হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করা হবে সে নিয়েই প্রশ্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়ার অর্থ জেতার আশা ক্ষীণ। দিলীপ গোষ্ঠী চাইছে তথাগত রায়কে প্রার্থী করতে। ভোটের আগে থেকেই তথাগত নানা ব্যাঁকা মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। সাতদিন আগে এই অস্বাতি বাড়িয়ে ট্যুইটে লেখেন, বিজেপি নেতৃত্ব মেনে নিক তারা বিধানসভা ভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে, হেরেছে। ৩ থেকে ৭১ হওয়ার ঢাক বাজিয়ে নিজেদের অপদার্থতা ঢাকার অপচেষ্টা বন্ধ করুক। কিন্তু একটি সূত্র বলছে, তথাগত মোটেই এই কেন্দ্রে লড়তে রাজি নন। ‘শহিদ’ হতে চাইছেন না তিনি। তাঁর বক্তব্য, দল যেভাবে চলছে তা তাঁর অপছন্দ আর সেই পাপের ভাগীদার হতে চান না।

 

শোনা যাচ্ছে দীনেশ ত্রিবেদীর কথা। দীনেশ রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে বিজেপিতে আসেন। তিনি আপাতত কাব্যে উপেক্ষিত। রাজনীতির কোনও আঙিনাতেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। সিপিএমে রবিন দেবের রাজনীতির অঙ্গনে নাম ছিল ‘ ‘হেরো রবিন’। বারবার তিনি ভোটে প্রার্থী হয়েছেন, হেরেছেন। দীনেশ লোকসভায় হারার পর বিধানসভায় হেরে রবিন দেবের উপাধি নিতে মোটেই রাজি নন।

 

ফলে ফিরে আসছে ভবানীপুরে বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের নাম। প্রার্থী হওয়ার পরেই রুদ্রর কাজ কমেছে, মুখে কুলুপ এঁটে সহাবস্থান চাইছেন। তিনিও হারের তকমা দ্বিতীয়বার নিতে চাইছেন না। নাম উঠেছে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। সঙ্গে আরও কয়েকজন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী খুঁজতে হয়রান বিজেপি। শেষে আরএসএস থেকে কোনও প্রার্থী না ধরে আনতে হয়! বিজেপির অন্দরমহলে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ঠাট্টার কথাটা… গ্যাস খেয়ে ক্ষুদিরাম হতে কেউই চাইছে না!

 

advt 19

 

 

Previous articleকাল ভবানীভবনে শুভেন্দুকে জেরা, আসবেন না এড়াবেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে
Next articleসোনার পদক জয়ী কৃষ্ণ নগরকে শুভেচ্ছা কোবিন্দ, মোদির