“নিম্ন যাহার মেরুদন্ড, বিক্রিত যার হৃদয়…”, ছড়া বেঁধে শুভেন্দুকে কটাক্ষ কুণালের

সব মামলা থেকে তদন্ত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। যদিও আদালতে তা সম্ভব হয়নি। সোমবার, শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court) স্পষ্ট জানায়, বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত চলবে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। সেই তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে শুভেন্দুকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা যাবে। যদিও ‘আদালতের থেকে রক্ষাকবচ পাওয়া গিয়েছে’ এমনটা দাবি করেই শুভেন্দুপন্থীদের তরফে প্রচার চালানো হয়। এ প্রসঙ্গে কবিগুরুর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে খোদ শুভেন্দু অধিকারী এক টুইটে লেখেন, ‘চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য উচ্চ যেথা শির।’ শুভেন্দু এই মন্তব্যেরই পাল্টা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

আরও পড়ুন:ভোল বদল অধীরের, ভবানীপুরে জোট প্রার্থীর সম্মতি চেয়ে AICC-কে প্রস্তাব প্রদেশ কংগ্রেসের

রীতিমতো ছড়া বেঁধে এদিন শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে তিনি লেখেন, “উচ্চ যেথা শির? কার?

নিম্ন যাহার মেরুদণ্ড,
বিক্রিত যার হৃদয়-
বাঁচতে যে হয় দলবদলু
কাপুরুষ তারে কয়।”
তবে এখানেই থামেননি কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠকেও শুভেন্দুকে একহাত নেন তিনি। আদালতের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ সামনে আসতেই শুভেন্দু-গোষ্ঠীর লোকেরা বলতে শুরু করেন, ‘শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না!’ কিন্তু গ্রেফতারের কথা আসছে কোথা থেকে? তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়ককে। কোথাও যদি কোনো গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায় তখন গ্রেফতারের বিষয় আসবে। তার আগে তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। আসলে উনি চেয়েছিলেন সব তদন্ত এড়িয়ে যেতে কিন্তু সেটা হয়নি।”

শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা চাকরির নামে প্রতারণা ও এসপিকে হুমকি মামলার তদন্তও চলবে। সুতরাং “শুভেন্দু অধিকারীর স্বস্তি”- এই কথাটা একেবারেই তাঁর শিবিরের রটনা। আসল সত্যিটা হল এই যে, প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে। তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। তাই ‘স্বস্তি’ বা ‘রক্ষাকবচ’ কোনটাই মেলেনি বিজেপি বিধায়কের।

পাশাপাশি, সম্প্রতি ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবে বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সে প্রসঙ্গ এদিন দিলীপকেও একহাত নেন কুণাল। বলেন, “প্রলাপের ওপর তো জিএসটি বসেনি, তাই ওনারা বকে চলেছেন। আসলে ওনারা নিজেরাও জানেন রেকর্ড ভোটে ভবানীপুর থেকে জিতবেন মমতা। খবরে ভেসে থাকার জন্য এই ধরনের আলপটকা মন্তব্য ওনাদের করতে হয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এরকম বহু মন্তব্য করেছেন। লজ্জা নেই, তাই আবার করবেন।” একইসঙ্গে ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কংগ্রেসের দিল্লির নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের তৃণমূল নেত্রীর সম্পর্ক ভাল। ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে কংগ্রেস, আর তাতে জোটের ভরাডুবি হবে।’

advt 19

 

Previous articleভোল বদল অধীরের, ভবানীপুরে জোট প্রার্থীর সম্মতি চেয়ে AICC-কে প্রস্তাব প্রদেশ কংগ্রেসের
Next articleজীবন দেব, মাথা নোয়াব না: ইডি থেকে বেরিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তোপ অভিষেকের