ফের বঞ্চনা! বাংলার ১৫ লক্ষ কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধির টাকা পাচ্ছেন না, জানালেন কৃষিমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধির আর্থিক সহায়তা থেকে ফের বঞ্চিত বাংলার লক্ষ লক্ষ কৃষক। পশ্চিমবঙ্গের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্য সরকার কৃষকবন্ধু প্রকল্পে  কৃষকদের আর্থিক সহায়তার পরিমাণ দ্বিগুন করেছে। সেখানে বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে মোদি সরকার। কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে না কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা।

আরও পড়ুন: ভারতের হিন্দু -মুসলমানদের পূর্ব পুরুষ এক, বললেন মোহন ভাগবত

সোমবার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার ও পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই তথ্য জানার পর তীব্র প্রতিবাদ করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন ওই বৈঠকে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়া কেউই কোনো বক্তব্য রাখতে পারেননি। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ওই বৈঠকে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন বলার তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৬ লক্ষ কৃষক সাহায্য পেয়েছেন বিভিন্ন প্রকল্পে। তাঁদের জমি ও অন্যান্য তথ্যও আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যে তৈলবীজ চাষের উপযোগী আবহাওয়া নেই। তা সত্ত্বেও যদি কেন্দ্রীয় ভরতুকি পাওয়া যায়, তাহলে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বা উত্তরবঙ্গের কোনও জেলায় তৈলবীজ চাষের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্পে টাকা পাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের ৪৬ লক্ষ ২ হাজার কৃষকের নাম নির্দিষ্ট পোর্টালে নথিভুক্ত করা হয়। যার মধ্যে ৩৮লক্ষ ৫১ হাজার কৃষককে টাকা দেওয়ার জন্য চিহ্নিতও করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মাত্র ২৩ লক্ষ ৭৭ হাজার  কৃষককে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ প্রায় ১৫ লক্ষ কৃষক এই দফায় প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি থেকে বঞ্চিত হয়েছেনন। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “নানান কারণ দেখিয়ে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তবে রাজ্য সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। কৃষকবন্ধুর টাকা যেমন তাঁরা পাচ্ছেন, তেমনই শস্যবিমা–সহ আরও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাও পাচ্ছেন রাজ্যের কৃষকরা।”

আরও পড়ুন: ভবানীপুর উপনির্বাচন: মুখ্যমন্ত্রীকে রেকর্ড মার্জিনে জেতাতে নামছেন যে সকল তারকা প্রচারক

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গে খাদ্য শস্য ও শাকসব্জির চাহিদা মেটানোর পরও উদ্বৃত্ত। এমন কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যা কৃষকদের উপযোগী। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৮ সাল থেকে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার চেষ্টা চালাচ্ছে, সেখানে রাজ্যের কৃষকদের আয় তিনগুন হয়ে গিয়েছে।”
advt 19

 

Previous articleবিরোধীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, ভবানীপুরে মমতার সমর্থনে আসরে নেমেই হুঙ্কার শোভনদেবের
Next articleহলফনামা দিতে পারল না কেন্দ্র, পিছলো পেগাসাস মামলার শুনানি