এবার কোভিডে মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেট সমস্যা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে কেন্দ্র জমা দিল নয়া গাইডলাইন। করোনা সংক্রমিত মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার শিকার হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। কাদের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মধ্যে রাখা হবে, কারা  সেই তালিকায় থাকবেন না, এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এটি সমাধানের জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই নয়া নির্দেশিকা ইস্যু করল কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) সঙ্গে যৌথভাবে সরকারি নির্দেশিকার কথা দেশের শীর্ষ আদালতে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে…

➡️ যে সমস্ত রোগীদের হাসপাতালে অথবা চিকিৎসা কেন্দ্রে RT-PCR টেস্ট, মডিউলার টেস্ট, ব়্যাপিড-অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা ধরা পড়েছে, তাদেরই কোভিডে মৃতের তালিকাভুক্ত করা হবে।

➡️ কোভিড পজিটিভ হওয়া অবস্থায় যদি কেউ আত্মঘাতী হন অথবা বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়, তাহলে তা করোনায় মৃত হিসেবে গণ্য করা হবে না।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরা : অভিষেকের পদযাত্রা ঘিরে উদ্দীপনা, বুথভিত্তিক মহিলা সংগঠনের ডাক দিয়ে কর্মিসভা

➡️ করোনা সংক্রমিত অবস্থায় কারও দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলে তা কোভিডে মৃতের আওতায় পড়বে না।

➡️ হাসপাতাল কিংবা বাড়িতে কোনও কোভিড রোগীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখাতে হলে কর্তৃপক্ষকে ফর্ম ৪ ও ৪-এ ইস্যু করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ আইনের ১০ নম্বর ধারায় এই ফর্ম জরুরি।

➡️ কোনও ব্যক্তি কোভিড পজিটিভ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হলে তা কোভিডে মৃত বলে মানা হবে। এই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে হলেও।

➡️ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ নিয়ে মৃতের পরিবারের অভিযোগ বা অসন্তোষ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জেলা স্তরে একটি  কমিটি তৈরির কথা বলা হবে। সেখানে নিজেদের সমস্যা যাতে জানাতে পারবেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। ওই কমিটিই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

advt 19

 

Previous articleদেশের দৈনিক সংক্রমণ কমলেও উৎসবের মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ
Next article‘বিপদ’ বিজেপি, ত্রিপুরায় তৃণমূলের লাগাম শক্ত হতেই বঙ্গ সফরে মানিক সরকার