হার ঘোষণার ২ ঘন্টা পর চুরি করে জিতেছি…! সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল শুভেন্দু

হার ঘোষণার ২ ঘন্টা পর চুরি করে জিতেছি নন্দীগ্রামে, সারা জীবন লোকের মুখে এমন কথা শুনতে হবে! এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, এমন একাধিক পোস্ট। সেখানে কমেন্টে মজাদার ইমোজির সঙ্গে নানা ধরণের কটাক্ষ সূচক মন্তব্য করছে নেটিজেনরা।

কেন এমন ট্রোলের শিকার শুভেন্দু?

ভবানীপুর উপনির্বাচনের দলীয় কর্মিসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের ভোটে তিনি ষড়যন্ত্রের বলি। সেখানকার মানুষের অনুরোধ, আবদার, আবেগকে সম্মান নিয়ে নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু চক্রান্ত ও কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। রিগিং, সন্ত্রাসও হয়েছে। কে করেছে, সেটাও তিনি জানেন। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর গত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিতর্কিত ভোটে জেতা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “উনি আমার এখন নতুন নাম দিয়েছেন, ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র। চিরদিন, যতদিন বাঁচবেন, রাজনীতিতে থাকবেন – কানের কাছে বাজবে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি। আপনি মাথা থেকে কখনও বের করতে পারবেন না। আপনাকে এই যন্ত্রণা নিয়েই চলতে হবে।’’

এবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এমন কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা কটাক্ষের শিকার হলেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু। গত ২ মে (বিধানসভা ভোটের ফলাফলের দিন) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সংবাদ সংস্থার ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা লিখছেন, “হার ঘোষণার ২ ঘন্টা পর চুরি করে জিতেছি নন্দীগ্রামে, সারা জীবন লোকের মুখে এমন কথা শুনতে হবে…!”

২ মে গণনার দিন ঠিক কী হয়েছিল?

হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে কে জিতেছেন কে পিছিয়ে রয়েছেন,
সেদিকে গোটা দেশের নজর ছিল। দুপুরের পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তখন ২০০ উপর আসনে জয়ী হয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্শীবাদ ও স্নেহধন্য তৃণমূল প্রার্থীরা। বিজেপি আটকে গিয়েছে অনেক নীচের দিকের দুই অঙ্কে। ঠিক সেই সময় বিখ্যাত এক সংবাদসংস্থা একসময় জানিয়ে দেয়, শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২০০ ভোটের ব্যবধানে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও নিউজ পোর্টালেও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখানো হয়েছে। পরাজিত শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তখন শুরু হয়ে গিয়েছে দলনেত্রী ও প্রিয় দিদির জয়ের সেলিব্রেশন।

কিন্তু হঠাৎ কোনও এক অজানা কারণে এই ঘোষণার ঘন্টাখানেক পর ফলাফল উল্টে যায়। ১৭৩৬ ভোটে জিতেছেন শুভেন্দু। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকেও অনেক পরে বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। যা নিতে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। নন্দীগ্রাম গণনা মামলা এখন আদালতে।

 

advt 19

 

Previous articleপুজোর মুখে কমছে ভোজ্য তেলের দাম!  
Next articleসব সময় সাধারণ মানুষের পাশে বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক, খুশি এলাকাবাসী