সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ কুরেশি এবং সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মৈদ ইউসুফ। সেখানে ভারত-বিরোধী ১৩১ পাতার নথি প্রকাশ করা হয়। তাতেই পাকিস্তানের অভিযোগ, ভারতের পাঁচটি জায়গায় আইএসআইএস (ISIS) প্রশিক্ষণ দেয়। ভারত বিভিন্ন ভাবে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে সাহায্য করে।
ওই নথিতে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে সব অভিযোগ থাকে পাকিস্তানের, সে সব তো রয়েছেই। তবে বিদেশ মন্ত্রকের মতে, সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, ভারত এবং ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’ (ISIS) সংযোগের অভিযোগটি। এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক বলছে, এমন মিথ্যা অভিযোগ কোনও দিন অর্থাৎ ভবিষ্যতেও পাকিস্তান প্রমাণ করতে পারবে না।
বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ভারত যখন কাবুলে হক্কানি নেটওয়ার্কের বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করেছে, কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ISIS-এর একটি শাখা, ঠিক সেই সময়ই পরিকল্পনামাফিক এই বিশেষ জঙ্গি সংযোগের অভিযোগ করা হল। আমেরিকা এবং রাশিয়ার এই জঙ্গি সংগঠনের শত্রু। ফলে ভারতের সঙ্গে আইএসআইএস সংগঠনের নাম জড়িয়ে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে অনাস্থা তৈরি করা ইসলামাবাদের অন্যতম উদ্দেশ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। মনে করা হচ্ছে, সেখানে সেখানে দু’পক্ষের প্রবল বাগযুদ্ধ হবে। দিল্লির মতে, তালিবান জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানের মদতেপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের সংযোগের দিক থেকে নজর ঘোরানো এবং ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য আগামিদিনে আরও মরিয়া হয়ে উঠবে পাকিস্তান তথা আইএসআই।