ক্রমশ অবনতি হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। ফিরোজাবাদের এক হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১১ বছরের বৈষ্ণবী কুশওয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা। সে সময় বৈষ্ণবীর দিদি নিকিতা হঠাৎই কাঁদতে কাঁদতে ওই অফিসারের গাড়ির সামনে বসে পড়েন। নিকিতা ওই অফিসারকে হাতজোড় করে বলতে থাকেন, ‘স্যার আমার বোনকে বাঁচান। ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে আমার বোনটা মরে যাবে। দয়া করে ওর জন্য ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। আমার বোনের যাতে ভাল চিকিৎসা হয় আপনাকে আগে তার নির্দেশ দিতে হবে। না হলে আমি আপনাকে যেতে দেব না’। নিকিতা যখন অমিত গুপ্তা নামে ওই অফিসারের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করছিলেন সে সময় দুই মহিলা পুলিশ কর্মী তাঁকে জোর করে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। তবে ওই সরকারি অফিসার নিকিতাকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর নিকিতা শান্ত হন। যদিও ওই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিকিতার বোন বৈষ্ণবীর মৃত্যু হয়।

উত্তরপ্রদেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে এ ঘটনা তারই প্রমাণ। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ নতুন করে উঠে এসেছে। তবে ফিরোজাবাদের ওই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা জানিয়েছেন, বৈষ্ণবীর চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি হয়নি। মেয়েটিকে অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সে কারণেই তাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, গত ১০ দিনে ফিরোজাবাদ জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি রোগী। হাসপাতালগুলিতে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই রব।
আরও পড়ুন- করোনা আবহে বিশ্বকর্মা পুজো কমেছে , মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের
