করোনা আবহে বিশ্বকর্মা পুজো কমেছে , মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের

দু’বছর ধরে সমস্যায় মৃৎশিল্পীরা। করোনা আবহে ময়নাগুড়ির মৃৎশিল্পীদের অনেকেরই মাথায় হাত পড়েছে। আর দুদিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো।  অন্যান্য বছরগুলিতে এই সময় জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি এবং ময়নাগুড়ির পালপাড়া সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মৃৎশিল্পীদের চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেলেও এবারে তার উল্টো চিত্র। বায়না না হওয়ায় , মুখ চেয়ে বসেই বসেই দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতি বছর প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ বিশ্বকর্মা  তৈরি হয় । কিন্তু এবার করোনা আবহে মূর্তি গড়েছেন মাত্র মাত্র ৩৫ থেকে ৪০টি। যে কটি বানিয়েছেন তারও বেশির ভাগই বায়না হয়নি। ফলে দুশ্চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। বেশিরভাগ বিগ বাজেটের বিশ্বকর্মা

পুজো ছোট করে হচ্ছে। প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোর প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস আগে কাজ শুরু হতো। এবার সেখানে মাত্র কয়েকদিন আগেই কাজ শুরু করেছেন মৃৎশিল্পীরা। ১০থেকে ১২ ফুট উচ্চতার

বিশ্বকর্মা দাম ছিল ২০০০ থেকে প্রায় ৫০০০ টাকা। এবছর ঠাকুরের উচ্চতা কমে গিয়ে ৩-৪ ফুট হয়েছে, যার ফলে দামও কমে গিয়ে ৯০০-১০০০ টাকার মধ্যেই রয়েছে। করোনা আবহে মৃৎশিল্পীদের প্রতিমা বায়না না হওয়ায় মাথায় হাত পড়লেও এখনও আশায় বুক বাঁধছেন মৃৎশিল্পীরা।

এই নিয়ে ময়নাগুড়ির পুরানো মৃৎশিল্পী সুধির পাল বলেন, ” হাতে গোনা মাত্র কয়েকদিন তারপরেই বিশ্বকর্মা পজো। কিন্তু এখনও অনেক ঠাকুর বায়না হয়নি। সমস্ত পূজা ছোট করে করা হচ্ছে। ধার দেনা করে প্রতিমা তৈরি করছিলাম, বিক্রি না হলে পথে বসতে হবে।

advt 19

 

 

Previous articleকুলিক পক্ষীনিবাসে শুরু পাখি গণনা
Next articleশহরের প্রাণকেন্দ্রে ‘জাগো বাংলা’ স্ট্যান্ড