ওয়েব সেমিনারের মাধ্যমে কৃষক ও বিজ্ঞানী- ভাব বিনিময়, ফলাফল- সার্বিক উন্নতি

রূপনাথ রায় : কেন্দ্রীয় সরকারের জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গের প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বায়োটেক কিষান হাবের পক্ষ থেকে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সুদীর্ঘ ও মজবুত করার লক্ষ্যে কৃষক বিজ্ঞানীদের সহযোগে ভার্চুয়ালি একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

এই অভিনব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জৈব প্রযুক্তি বিভাগ এবং ভারত সরকারের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সম্ভাবনাময় পাঁচটি জেলা যথা নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ দক্ষিণ দিনাজপুর ও সুন্দরবন এলাকার আনুমানিক সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি কৃষিজীবী, প্রাণী পালক মৎস্য চাষি এবং ১০০ জন স্বনামধন্য বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন:ভবানীপুরের CPIM প্রার্থী শ্রীজীবের নামে বাড়ি নেই, ৮ লাখি গাড়ি আছে!

অনুষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বায়োটেক কিষান হাব প্রকল্পের মুখ্য পরিদর্শক ডাঃ কেশবচন্দ্র ধারা এবং সহ মুখ্য পরিদর্শক ডাঃ শ্যামসুন্দর কেশ এবং উত্তম রায় সহযোগিতায় ছিলেন প্রকল্পের কর্মীরা। এই সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক চঞ্চল ঘোষ,  নিবন্ধক সৌরভ চন্দ্র গবেষণা সম্প্রসারণের মুখ্য পরিচালক ডক্টর শুভাশিস বটব্যাল। উক্ত সভায় বায়োটেকনোলজি বিভাগের মুখ্য সচিব ডাঃ রেণু স্বরুপ এই ভার্চুয়াল সভায় সূচনা করেন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এই বিভাগের মুখ্য উপদেষ্টা ডা: মোহাম্মদ আসলাম, পরিসংখ্যান উপদেষ্টা ডা: রাধা আশ্রিত চিহ্নিত ,পরামর্শদাতা প্রফেসর গোয়া প্রসাদ এবং বিজ্ঞানী বৈশালী পাঞ্জাবি বিশেষ করে মহিলা  খামারিদের স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত ও শ্রুতির করনের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুতি প্রদানের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা প্রফেসর নীলোৎপল ঘোষ প্রফেসর টি.জে  আব্রাহাম প্রফেসর তরুণ কান্তি মাইতি এছাড়াও ছিলেন বীরভূম জেলার মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাক্তার মোশারফ হোসেন এবং কৃষি বিজ্ঞানী মুনকির হোসেন মুরারয় দু নম্বর ব্লকের বিডিও মোঃ নাজির হোসেন মুরারয় দু নম্বর ব্লকের  ভেটেনারি অফিসার ডা: কমল আদক তারা প্রত্যেকেই কৃষকদের মৎস্য চাষীদের এবং প্রাণী পাঠকদের উদ্দেশ্যে বায়োটেক কিসান হাবের নানা প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হওয়ার নানা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।

এছাড়াও নদিয়া মুর্শিদাবাদ মালদহ বীরভূম ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা এবং সেখানকার খামারি বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন জেলার খামারি বন্ধুরা বিজ্ঞানীদের সাথে তাদের সমস্যা এবং প্রাণী ও মৎস পালন সংক্রান্ত কিছু তথ্য আলোচনা করেন এবং তাদের মধ্যে ভাব বিনিময় করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাণী ও মৎস্য সংগ্রহ করে যে স্বনির্ভর হতে পেরেছেন এবং তাদের আয়ের এর উৎস হিসেবে প্রাণী পালন ও মৎস্য চাষ কে বেছে নিয়েছেন তা বলেন গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও মজবুত করে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভবিষ্যতের এই প্রকল্প থেকে আরও সুবিধা গ্রহণের তারা আশা রাখেন বলে মনে করেন।  কৃষক বিশেষ করে মহিলা খামারিদের উৎসাহ-উদ্দীপনা বেশি ছিল তারা প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানান।

advt 19

 

Previous articleভবানীপুরের CPIM প্রার্থী শ্রীজীবের নামে বাড়ি নেই, ৮ লাখি গাড়ি আছে!
Next articleনুসরত-পুত্রের বাবা যশই, বার্থ সার্টিফিকেট প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনার অবসান