প্রধানমন্ত্রীর দফতরে কুণালের পাঠানো সারদাকর্তার চিঠিতে সাড়া মিলল, কী বলছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক?

কুণাল ঘোষ। (ফাইল ছবি)

জেলে বসে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠির বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখার জন্য আগে সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এবার তৃণমূলের কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) একই আর্জিতে সায় দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরও। গতবছর ডিসেম্বরের গোড়াতে সুদীপ্ত সেনের জেল থেকে লেখা চিঠির কপি প্রকাশ্যে আনেন কুণাল। জেলে বসেই আদালতকে এই চিঠি পাঠান সারদাকর্তা।

উল্লেখ্য, সুদীপ্ত সেন নিজের শুভেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন নেতার নাম জানিয়েছিলেন, যারা তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-ভবানীপুর উপনির্বাচন: তৈরি তৃণমূল নেত্রীর প্রচারের সূচি

সারদা কর্তার লেখা সেই চিঠির ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে তদন্ত দাবি করেছিলেন কুণাল। তিনি চিঠি দিয়েছিলেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সাড়া পাওয়া গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আজ কুণাল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “সারদার বিষয় প্রথম দিন থেকে আমি সহযোগিতা করে এসেছি। তা রাজ্য পুলিশ হোক, কেন্দ্রীয় এজেন্সি হোক। আমি মনে করি এখানে এক বিরাট ষড়যন্ত্র আছে। সেই জন্য আমি সহযোগিতা করেছি, সহযোগিতা করে যাব। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁদেরকে চিঠি দিয়েছিলাম সেখানে সুদীপ্ত সেন সিএমএম কোর্টে যে লিখিত বয়ানটি দিয়েছেন আমি সেটির সার্টিফায়েড কপিসহ চিঠি দুটি দিয়েছিলাম। তাহলে কেন ব্যবস্থা হবে না? উনি বলছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে, উনি নাম করে করে বলেছেন। একটাও নতুন কথা নয়। ২০১৩ সালে আমি এই কথাগুলো বলেছি। সেগুলো আজকে জাস্টিফায়েড হচ্ছে। কখনও উনি ড্রাফটের কথা বলছেন কখনও ক্যাশের কথা বলছেন কখনও ব্ল্যাকমেলিংয়ের কথা বলছেন। তাহলে কেন এর তদন্ত এখনও হবে না? সুদীপ্ত সেন এই চিঠিতে আরও লিখছেন, যে ২০১৩ সালে যে চিঠিটা সামনে আনা হয়েছিল, সেটি তাঁকে চাপ দিয়ে লেখানো। সেটি তাঁর মনের কথা নয়। তাহলে কেন এর তদন্ত হবে না কেন শুভেন্দু গ্রেফতার হবে না!”

আরও পড়ুন-বাংলার জন্য কাজ করার বড় সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি: বাবুল

কুণাল ট্যুইট করে লেখেন, “এদিন টুইট করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কোর্টে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে শুভেন্দু নিয়ে সবিস্তার অভিযোগ আছে। সঙ্গে আরও বিষয়। PM ও HM কে চিঠির Certified copyসহ লিখেছিলাম কেন এর তদন্ত হবে না? শুভেন্দুকে বন্দি করে জেরা করা উচিত।
অমিত শাহ জানিয়েছেন তিনি পেয়েছেন।
PMO জানাল সেটি সংশ্লিষ্টস্থানে পাঠিয়েছে।
দেখা যাক।”

advt 19

 

Previous articleভবানীপুর উপনির্বাচন: তৈরি তৃণমূল নেত্রীর প্রচারের সূচি
Next articleরাজ্যসভা উপনির্বাচনে সোনোয়াল ও মুরুগানকে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি