‘বিজেপিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না’, প্রথম একাদশে সুযোগের জন্য বাবুল ধন্যবাদ জানালেন মমতা- অভিষেককে

babul supriyo

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বাবুল সুপ্রিয়। বললেন, প্রথম একাদশে আমি খেলতে চাই। সাইড লাইনে বসে থাকতে চাই না। খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না তাই বিজেপি ছেড়েছি। আমি প্রথম একাদশে থাকতে চাই। সেই সুযোগ আমায় দিয়েছে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, আমি আপ্লুত যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আমায় সুযোগ দিয়েছেন। এই সুযোগ আগামিদিনে সেই নিশিচতভাবে কাজে লাগাতে পারব।

সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল জানিয়ে দিয়েছেন, বুধবার তিনি দিল্লি যাবেন। সেখানে স্পিকারকে বলে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। বাবুল বিজেপি ছাড়ার পরই মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যের উত্তরে এদিন বাবুল বলেন, আমি শমীকের থেকে অনেক পরামর্শ নিয়েছি। তবে শমীক বলেছেন, বাবুলকে অন্তত দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না।

আরও পড়ুন-২০১৪ সালে মোদি জনপ্রিয় ছিলেন, ২০২৪ সালে দিদি: বাবুল

দল ছাড়া নিয়ে স্বপন দাশগুপ্ত, শুভেন্দু অধিকারী, তথাগত রায়, দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ নিয়ে বাবুল পরিষ্কার জানান, কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তাঁকে সম্মান জানাতে শেখা উচিত।

বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের টুইট, তার উত্তরে বাবুল একের পর এক জবাব দিয়েছেন। বিতর্কে বাবুল টেনে এনেছেন বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকেও। তাঁর টুইট উদ্ধৃত করে বাবুল তথাগতকে লিখেছেন, ‘আপনার আর স্বপন দাশগুপ্তের সমালোচনার ফারাকটা বুঝুন।’অন্যদিকে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পর্যটকের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দিলীপকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কে পর্যটক বলল তাতে যায় আসে না। কেউ কেউ কোনও যায়গায় যায় ক্যামেরায় ছবি তুলে আনে, আমি আমার মনে ছবি তুলে আনি।’ তিনি আরও বলেন, “দিলীপ ঘোষকে বর্ণপরিচয় উপহার দেবো, যাতে উনি বাংলা ভাষাকে কলুষিত না করেন।”

এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জবাব দেন বাবুল। বলেন, আমার আর ওঁর জন্ম তারিখ এক। ১৫/১২/১৯৭০। আমি বলে দিতে চাই, আমি তৃণমূলে এসেছি আর ওঁ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন।

তথাগত রায় বাবুল সুপ্রিয়কে মীরজাফর বলেছেন। তাঁর উত্তরে বাবুল বলেন, “উনি যথেষ্ট বয়স্ক, ওনার রুচি সম্মত হওয়া উচিত।” এদিকে অনুপম হাজরার কটাক্ষ প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, হাজার হাজার হাজরা ঘুরে বেরায় হাজরা মোড়ে। এর থেকে ভালো হাজরা মোড়ে দাঁড়িয়ে আমি কচুরি খাব, ওঁর কথার জবাব দেব।

ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল প্রসঙ্গে এদিন বাবুল বলেন, প্রিয়াঙ্কা আমার প্রায় সমস্ত মামলা লড়েছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে বাবুল বেরবেন কিনা সে প্রসঙ্গে তাঁর উত্তর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতার জন্য বাবুল সুপ্রিয় প্রচার প্রয়োজন হয় না।

২০১৪ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বাবুলের বক্তব্য, “২০২৪ সালে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই। সেই তালিকায় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আমি যে দলে আছি, সেই দলের নেত্রীকে সমর্থন করার মধ্যে ভুল কিছু নেই।” বাবুলের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দু’বার ফোনে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেছেন, তুমি মন দিয়ে গান গাও। বাবুল বলেন, আমি যে আবার গানটা ভালো করে গাইতে পারব এটাই আমার ভীষণ ভালো লাগছে।

আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ডে বড় ঘোষণা কেজরির, সরকার গড়লে ৬ মাসে ১ লক্ষ চাকরি প্রতিশ্রুতি

ঝালমুড়ি খাওয়া প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, “রাজভবনে যাওয়ার পথে আমি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে ছিলাম। তখন তিনি আমায় ঝালমুড়ি খাওয়ার অফার করছেন তা আমি খাবো না! এইটুকু সৌজন্যবোধ আমার আছে। এর মধ্যে আমি কোনও ভুল দেখছি না। অন্য কেউ যদি অফার করে এবং সেই পরিস্থিতি যদি থাকে নিশ্চয়ই খাব।

advt 19

 

Previous article২০১৪ সালে মোদি জনপ্রিয় ছিলেন, ২০২৪ সালে দিদি: বাবুল
Next articleপাঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চরণজিৎ সিং চান্নির নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস